বিনা মূল্যে স্কুল ড্রেস পেল দমদমিয়া আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা

দমদমিয়া আলোর পাঠশালার প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৪০ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল ড্রেস ও পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। গত ৫ জুন দমদমিয়া আলোর পাঠশালায়।

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত কক্সবাজারের টেকনাফে দমদমিয়া আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের নতুন স্কুল ড্রেস ও পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। গত ৫ জুন বুধবার এগুলো বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর টেকনাফ প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন, পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল কবির, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাবুডাইং আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নুর ও দমদমিয়া আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক শ্রী রাজেশ কুমার কানু। আরও উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং অভিভাবকবৃন্দ।

প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৪০ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল ড্রেস ও পরিচয়পত্র এবং ছয়জন শিক্ষককে তাদের পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়।

নতুন স্কুল ড্রেস হাতে পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। গত ৫ জুন দমদমিয়া আলোর পাঠশালায়।

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার। তার বাবা মোহাম্মদ ইউনুস একজন সামান্য জেলে। অল্প আয়ে যেখানে সংসার চলে না, সেখানে স্কুলের ইউনিফর্ম তাদের কাছে বিলাসিতা। এতদিন সে জরাজীর্ণ একটা পোশাকে স্কুলে আসত। নতুন ইউনিফর্ম পেয়ে ভীষণ খুশি সে। এবার থেকে প্রতিদিন সুন্দর ইউনিফর্ম পরে আসতে পারবে বলে তার আনন্দের সীমা নেই।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মদ। তার বাবা ছাদ মিয়া একজন গাড়ি চালক। অভাবের সংসারে তিনিও ছেলেকে ইউনিফর্ম দিতে পারেননি। ছেলেকে নতুন ইউনিফর্মে দেখে তিনি আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়েন।

তেমনিভাবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসমিন আক্তারে বাবা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ একজন দিনমজুর। তিনি মেয়ের নতুন পোশাকে দেখে আনন্দিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একই শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাইফুলের বাবা মোহাম্মদ শফিক কর্মহীন। সাইফুল তার বাসার পতিত জমিতে সবজি চাষ করে। সকালে সে সবজি বাজারে বিক্রি করে আবার স্কুলে আসে। অভাবের সংসারে তার পক্ষে ইউনিফর্ম কেনা সম্ভব হয় না। তার হাতে নতুন ইউনিফর্ম দেখে আনন্দের সীমা নেই তার।

উল্লেখ্য, সামিট গ্রুপ ও আঞ্জুমান-আজিজ ট্রাস্টের সহযোগিতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোট সাতটি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। রাজশাহীতে ২ টি, কুড়িগ্রাম, ভোলা, নওগাঁ, টেকনাফ ও বান্দরবানে ১টি করে মোট সাতটি স্কুলে ১ হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী বিনা মূল্যে পড়াশোনা করছে।