বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আশেকুর রহমানের স্মরণসভা

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গতকাল শুক্রবার স্মরণসভার আয়োজন করে বাবুডাইং আলোর পাঠশালা ও গ্রামবাসী।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আশেকুর রহমানের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়টি বর্তমানে বাবুডাইং আলোর পাঠশালা নামে পরিচিত। প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গতকাল শুক্রবার এ স্মরণসভার আয়োজন করে বাবুডাইং আলোর পাঠশালা ও গ্রামবাসী।

বেলা ১১টায় আশেকুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) কানাই চন্দ্র দাস, আশেকুর রহমানের মেয়ে আফসানা রহমান, জামাতা শাহাদাত হোসাইন শিকদার, অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের সদস্যসচিব শফিকুল আলম, স্থানীয় কার্তিক কোল টুডু, সুরেন কোল টুডু প্রমুখ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসা নেদারল্যান্ডসের নাগরিক স্কুলশিক্ষক ম্যাগরেট জনসেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের গহিনে অবস্থিত বাবুডাইং গ্রামের শিশুদের শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ২০০৭ সালে আশেকুর রহমান এ গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে প্রথম আলো ট্রাস্ট বিদ্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্ব নেয় এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করে। পরে নাম হয় বাবুডাইং আলোর পাঠশালা। আশেকুর রহমানের মেয়ে আফসানা রহমান বলেন, ‘আব্বুর স্বপ্ন ছিল, এখানকার শিশুরা অনেক এগিয়ে যাবে। আমরাও এ বিদ্যালয়ের পাশে থাকার চেষ্টা করব। আব্বুর প্রতি এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর সম্মান দেখে আমরা গর্ববোধ করছি।’

নেদারল্যান্ডসের পর্যটক ম্যাগরেট জনসেন বলেন, ‘চমৎকার একটি দিন কাটল চমৎকার মানুষদের সঙ্গে। আশা করি শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের জন্য তাঁদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সবার জন্য শুভকামনা ও প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতার প্রতি শ্রদ্ধা।’

শেষে ছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক আয়োজন। আশেকুর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্রীড়াসামগ্রী ও সাংস্কৃতিক দলের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের জন্য একটি আইসিটি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দেন তাঁরা। বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসা নেদারল্যান্ডসের দুই স্কুলশিক্ষক হ্যারি ও ম্যাগরেট জনসেনও শিক্ষার্থীদের বই কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা দেন।