আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নুরের গল্প
মোহাম্মদ নুর, দমদমিয়া আলোর পাঠশালার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সে এ পাঠশালায় নতুন ভর্তি হয়েছে। মনির আহম্মেদ ও খুরশিদা বেগম দম্পতির তৃতীয় সন্তান সে। মনির আহম্মেদ পেশায় জেলে। তিনি কেরুনতলীর বাসিন্দা, যা দমদমিয়ায় থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে। মোহাম্মদ নুর প্রতিদিন এই চার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে বিদ্যালয়ে আসে।
মোহাম্মদ নুরের এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার গল্পটা একটু অন্য রকম। সে স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। খুরশিদা বেগম একদিন চলার পথে জনৈক ব্যক্তির কাছে দমদমিয়ায় আলোর পাঠশালার নাম শোনেন। তিনি আরও শোনেন এখানে শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়ানো হয়। এমনকি সারা বছর পরীক্ষার ফি, ভর্তি ফি বা অন্যান্য কোনো প্রকার খরচ লাগে না। এ সব জেনে খুরশিদা বেগম সিদ্ধান্ত নেন, তার ছেলেকে এখানে পড়াবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী এই বছরের শুরুতে মোহাম্মদ নুরকে দমদমিয়ায় আলোর পাঠশালার চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি করান। ভর্তির দায়িত্বে ছিলেন সহকারী শিক্ষক মো. জোনায়েদ।
দূর থেকে কেন ছেলেকে এখানে ভর্তি করতে চাইছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে খুরশিদা বেগম বলেন, ‘এই স্কুলের অনেক সুনাম শুনেছি। আমি আমার সন্তানের উন্নত ভবিষ্যৎ আর সুশিক্ষার জন্য এখানে পড়াতে চাই। আমার বাসা থেকে স্কুল বেশ দূরে কিন্তু তবুও আমার ছেলে কষ্ট করে হলেও স্কুলে আসবে।’
মোহাম্মদ নুর এখন প্রতিদিন সময় মতো স্কুলে আসে। এতটা দূরত্ব অতিক্রম করে এসেও তার চোখেমুখে থাকে খুশির দীপ্তি।
দমদমিয়া আলোর পাঠশালার মতো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৭টি স্কুল পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।