নতুন বই পেয়ে উল্লসিত শিক্ষার্থীরা

দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় নতুন বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে।

প্রথম আলো ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় নতুন বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে আলোর পাঠশালার শ্রেণিকক্ষে আলোচনা সভার মাধ্যমে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদুল আলম, দাতা সদস্য সৈয়দুল আমিন, সদস্য মোহাম্মদ আয়ূব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় নতুন বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। নতুন বই পেয়ে উল্লসিত শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত বছর বিদ্যালয়ে ১৫২ জন শিক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৭ জন শিক্ষার্থী অন্যত্রে চলে গেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৩৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে নতুন করে ভর্তি চলছে। এর মধ্যে আজ প্রথম দফায় ১১০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।

হাতে নতুন বই পেয়ে খুশি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ওয়াজপিয়া ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তাহসিন বিন কবির বললেন, করোনার জন্য গত বছরও বিদ্যালয়ে তেমন পাঠদান করতে পারিনি। এবার নতুন বই হাতে পেয়েছি। করোনা ভাইরাস চলে গেছে, আমরা লেখাপড়া করতে স্কুলে প্রতিনিয়ত আসতে পারব। নতুন করে লেখাপড়া করব, এটায় আশা করছি।

নতুন বই হাতে বাড়ি ফিরছে দমদমিয়া আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদুল আলম বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কয়েক বছর ধরে পাঠদান প্রায় বন্ধ থাকলেও সরকার সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছে। এখন বিদ্যালয় ও বাড়িতে ভালোভাবে লেখাপড়া শিখতে হবে। তোমাদের শিক্ষিত করে তুলতে প্রথম আলো, সামিট গ্রুপ এগিয়ে এসেছে এবং বিনা বেতনে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এ জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই।

অভিভাবক মোহাম্মদ কবির হোসেন বলেন, আমরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোভিড-১৯ শুরুর পর থেকে চিন্তায় ছিলাম। এর মধ্যে প্রথম আলো ট্রাস্টে এগিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের চার দফায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি বিনা বেতনে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এলাকাবাসী প্রথম আলো ট্রাস্টের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যালয়টি প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছিল। এমন সময় প্রথম আলো ট্রাস্ট সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নতুন করে শিক্ষা জীবন গড়ে তোলার সুযোগ পেয়েছে। এলাকার শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, যাবতীয় খরচ বহন করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ জানাই।