ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করল নদীভাঙা চরের শিক্ষার্থীরা

মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহী আলোর পাঠশালার শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা রাজশাহীর তালাইমারী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করেন।

মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহী আলোর পাঠশালায় গত বুধবার দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়।

সকাল ৮টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা রাজশাহীর আলোর পাঠশালার পাশে তালাইমারী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করেন। তারপর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের আদলে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবিতে বাংলা বর্ণমালা নিয়ে র‍্যালি উদ্‌যাপন করা হয়। এরপর চিত্রাঙ্কন, রচনা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, লক্ষীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার দুলাল চক্রবর্তী।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের আদলে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবিতে বাংলা বর্ণমালা নিয়ে র‍্যালি উদ্‌যাপন করা হয়।

সকাল নয়টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল শহীদ মিনার। এ প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে প্রথম হয় অষ্টম শ্রেণির মোসা: সোনিয়া আক্তার এবং মোসা: সুরাইয়া পারভিন। যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়

অষ্টম শ্রেণির মোসা: লামিয়া এবং সপ্তম শ্রেণির সুমাইয়া। যৌথভাবে তৃতীয় হয় অষ্টম শ্রেণির মোসা: জেসমিন খাতুন এবং ষষ্ঠ শ্রেণির সিয়াম।

ওই দিন সকাল নয়টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল শহীদ মিনার।

সকাল দশটায় রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। রচনার বিষয় 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'। রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় অষ্টম শ্রেণির মোসা: জেসমিন খাতুন এবং দ্বিতীয় হয় দশম শ্রেণির মোসা: রাহেলা খাতুন।

দুপুরে পুরস্কার বিতরণের আগে মহান শহীদ দিবস নিয়ে এবং বাংলা ভাষা চর্চার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ। তিনি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে শিক্ষার্থীদের কুইজ ধরেন। এ সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোসা: রেজিনা খাতুন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: রহমত আলী এবং সহকারী শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সামিট গ্রুপ ও আঞ্জুমান-আজিজ ট্রাস্টের সহযোগিতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোট সাতটি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সাতটি স্কুলে মোট ১ হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী বিনা মূল্যে পড়াশোনা করছে।