স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দেয়নি প্রতিবন্ধী প্রেমা

রাজশাহী আলোর পাঠশালায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রেমা আক্তার সজনী

রাজশাহী আলোর পাঠশালায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রেমা আক্তার সজনী। সে শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী। তার বাড়ি থেকে স্কুলের পথ কিছুটা দূরে হওয়ায় তাকে কষ্ট করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে স্কুলে আসতে হয়। তারপরও প্রতিদিন স্কুলে আসে সে। পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ অনেক। তার কথায় অস্পষ্টতা থাকার পরেও সে ক্লাসে ভালোভাবে রিডিং পড়ার চেষ্টা করে। লিখতেও কষ্ট হয় তার। এক হাতের সঙ্গে আরেক হাত ঠেকে যায়, তবুও হাতের লেখা স্পষ্ট এবং সুন্দর।

প্রেমা বড় হয়ে কী হতে চায় জানতে চাইলে জানায়, তার সেলাইয়ের কাজ নিয়ে বড় কিছু করার ইচ্ছা। সে তার বাড়ির পাশে অনেককে দেখেছে অনেক সুন্দর হাতের কাজ করে। তখন থেকে তার ইচ্ছা, কষ্ট করে হলেও সেলাই নিয়ে কারিগরি নানা বিষয়ে শিখবে। একদিন অন্য মেয়েদের সেলাই শেখাবে-এটা তার স্বপ্ন।

এত কষ্ট করে কেন পড়াশোনা করছে জানতে চাইলে প্রেমা বলে, ‘যদি পড়াশোনা না করে কিছু করি তবে মানুষ মূল্য দেবে না। আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে বাধাগ্রস্ত একটা মেয়ে। তার ওপর যদি পড়াশোনাও না করি, তবে আমার স্বপ্ন সফল করতে পারব না। সবাই অশিক্ষিত বলবে। আমি ছোটবেলা থেকে দেখেছি মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করে। তাই আমি স্বাবলম্বী হয়ে একদিন আমার মায়ের কষ্ট দূর করতে চাই।’

প্রেমা তার প্রতিবন্ধকতা নিয়েও আলোর পাঠশালায় পড়াশোনা করা এবং এমন স্বপ্ন দেখা হাজারো প্রেমাকে আলোর পথ দেখাবে।