প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহী আলোর পাঠশালার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিম। প্রতিদিন সে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। সে জানে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। তার বাবা একজন রিকশাচালক মা অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করে। সে একটা গাড়ির গ্যারেজে কাজ করে নিজের খরচ নিজে চালায়।বাবা মা ও এক বোন নিয়ে তার পরিবার। মাহিম রাজশাহী শহরের নদীর ধারে বসবাস করে। নদী ভরে গেলেই তাদের ঘর পানির নিচে তলিয়ে যায়। তার মধ্যেও মাহিম সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সে তার বাবা-মাকে নিয়ে শহরে বাস করতে চায়।
মাহিম বড় হয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায়। কেন এই বিষয়ে পড়তে চাও জানতে চাইলে মাহিম বলে, ' আমার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে অনেক আগ্রহ। আমি এই বিষয়ে আরও জানতে চাই, শিখতে চাই। শুনেছি এই বিষয়ে ভালো পড়াশোনা জানা থাকলে ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায়। তাই আমি চাই ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং পরতে। তাছাড়া আমাদের অভাবের সংসার। তাই আমি চাই এমন কিছু করতে যাতে এই অভাব থেকে আমার পরিবারের মুক্তি মেলে।' মাহিমের বাবা বলে, আমার অভাবের সংসারে আমার ছেলেকে পড়ানো সম্ভব ছিল না ।প্রথম আলো ট্রাস্টকে ধন্যবাদ তারা বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ করে দিয়েছে। না হলে আমার ছেলের মতো অনেকেই অকালে পড়াশোনা থেকে ঝরে যেত। তারা শিক্ষার আলো পেতো না।