আলোর পাঠশালার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন
এম এম ইস্পাহানী লিমিটেডের সহযোগিতায় আলোর পাঠশালার নয় জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করেছে। ইউসেপ রাজশাহী টিভিইটি ইনস্টিটিউটে এই প্রশিক্ষণের আায়োজন করা হয়। তিন মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রথম পর্বে (জানুয়ারি–মার্চ ২০২৩) গুড়িহারী–কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রাক্তন শিক্ষার্থী মিঠুন কর্মকার অংশ নেয়। মিঠুন গুড়িহারী–কামদেবপুর আলোর পাঠশালা, নিয়ামতপুর,নওগাঁ থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পাস করে। তিন মাসের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে মিঠুন বর্তমানে ঢাকায় একটি ব্যাটারি কোম্পানিতে চাকরি করছে।
এদিকে ২০২৩ সালের (অক্টোবর–ডিসেম্বর) মেয়াদে তিনটি আলোর পাঠশালার আটজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোটর ড্রাইভিং কোর্স সফলভাবে শেষ করেছে। গুড়িহারী–কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রাক্তন শিক্ষার্থী আল আমিন, মাতিউশ সরেন,রতন হাসদা প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। আল আমিন ও মাতিউশ সরেন ২০২৩ সালে এবং রতন হাসদা ২০২০ সালে গুড়িহারী–কামদেবপুর আলোর পাঠশালা থেকে এসএসসি পাস করে বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করছে।
প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালা, কুড়িগ্রাম থেকে (অক্টোবর–নভেম্বর) তিন মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণে প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোস্তফা কামাল, মাসুদ রানা, আব্দুর রহিম ও আব্দুল মান্নান অংশ নেয়। মোস্তফা কামাল, মাসুদ রানা, আব্দুল মান্নান ২০২০ সালে এবং আব্দুল রহিম ২০১৮ সালে প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালা থেকে এসএসসি পাস করে।
এদিকে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় অবস্থিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালর প্রাক্তন শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম (আক্টোবর–ডিসেম্বর) অংশ নেয়। তরিকুল ইসলাম ২০২৩ সালে বাবুডাইং আলোর পাঠশালা থেকে এসএসসি পাস করে।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি, এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। অবহেলিত এসব এলাকার শিশুরা শিক্ষার পরিবর্তে অল্প বয়সেই বিভিন্ন কায়িক শ্রমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ত। এর পেছনে অসচেতনতার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব ছিল একটি বড় কারণ।সামিট গ্রুপ ও আঞ্জুমান-আজিজ ট্রাস্টের সহযোগিতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোট সাতটি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।