গুড়িহারী–কামদেবপুর আলোর পাঠশালায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালায় গত ৭ ও ৮ই মার্চ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব শুরু হয় সকাল ৬ টায় ম্যারাথন দৌড়ের মাধ্যমে। দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় সকাল ৮ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। শিক্ষার্থীরা ক, খ, গ ও ঘ চারটি ক্যাটাগরিতে মোট আটটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পাঠশালার শুভানুধ্যায়ী ও গ্রামবাসীদের জন্য ছিল দৌড় ও মিউজিকাল চেয়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন। প্রতিটি খেলায় শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মত।
৮ই মার্চ বিকেল ৫ টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় বালকদের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে ওপরে ওঠা এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের হাড়িভাঙ্গা খেলার মধ্য দিয়ে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পাঠশালার শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, আবৃত্তি, কৌতুক পরিবেশন করে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুরসালিনের পরিবেশিত রম্য খবর অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী জুঁই দাস বলেন ‘আমি এই ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রথম অংশগ্রহণ করছি আমার খুব ভালো লাগছে।’
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বন্ধুসভার সভাপতি মাসুদ রানা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিত দাস, পাঠশালা পরিচালনা পর্যদের সভাপতি আ. আজিজ,শিক্ষকমণ্ডলীসহ পাঠশালা পরিচালনা পর্যদের সদস্যবৃন্দ। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রতিটি ইভেন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী প্রতিযোগীদের পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়া পাঠশালায় শতভাগ উপস্থিত ৩২ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী নুর মহল সোনিয়া শতভাগ উপস্থিতির পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘স্কুল থেকে চলে যাচ্ছি খারপ লাগছে কিন্তু শতভাগ উপস্থিতির এ স্বীকৃতি পেয়ে আমি আনন্দিত।’
সার্বিক আয়োজন প্রসঙ্গে পাঠশালার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শেখ সেলিম বলেন, ‘এই ধরণের আয়োজন পাঠশালার শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সহায়ক হবে।’
সামিট গ্রুপ ও আঞ্জুমান–আজিজ ট্রাস্টের সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত গুড়িহারী কামদেবপুর আলোর পাঠশালাটি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম গুড়িহারী শালবাড়িতে অবস্থিত।