প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহী আলোর পাঠশালার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফি আক্তার নেহা। ছোট বেলায় তার মা মারা গেলে তার বাবা আরও একটি বিয়ে করেন। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে নেহা নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। স্কুল ছুটি থাকলে তার মন খারাপ হয়। সে চায় পড়াশোনা করে নিজের মতো করতে। তার স্বপ্ন সে পুলিশ অফিসার হবে। কিন্তু সে নিজেও জানেনা তাদের অভাবের সংসারে কিভাবে তার স্বপ্ন পূরণ করবে। তার সৎ মা তাকে এখনই বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু নেহার বাবা চায় তাকে আরও পড়াশোনা করাতে।
নেহাকে সকালে বাড়ির সব কাজ শেষ করে স্কুলে আসতে হয়। নিজের মা না থাকার কারণে সে সবসময় একটা যত্নের অভাব অনুভব করে। তাই সে স্কুলে তার সহপাঠীদের সাথে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। তাছাড়া তার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও তার প্রতি সব সময় খেয়াল রাখেন। নেহার যাতে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে না যায় সে দিকে তারা সবসময় যত্নশীল। নেহা বলে,' আমার মা আমাকে এখনই বিয়ে দিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আমি বিয়ে করতে চাই না । আমি লেখাপড়া করে বড় পুলিশ অফিসার হতে চাই। আমার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই । আমার ছোট ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে চাই। আমার ছোট ভাই আমার বড় চাচির কাছে থাকে। তাকে আমি আমার কাছে নিয়ে আসতে চাই।' নেহার বাবা প্রথম আলো ট্রাস্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পাশে আলো হয়ে দাঁড়ায় প্রথম আলো ট্রাস্ট আলোর পাঠশালা। তারা বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ না দিলে আমার মেয়েটাকে বাধ্য হয়ে অল্প বয়সে বিয়ে দিতে হতো। এতে তার স্বপ্ন অপূর্নই থেকে যেত।