দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় জাতীয় কবির ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় জাতীয় কবির ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

চিত্রাঙ্কন, কুইজ, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে দমদমিয়া আলোর পাঠশালা। ২৭ আগস্ট ২০২৫, বুধবার জাতীয় কবির ৪৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার প্রথম আলো ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত দমদমিয়া আলোর পাঠশালা এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রাত্যহিক সমাবেশ ও জাতীয় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

প্রাক- প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হয় ছড়া আবৃত্তি। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল কবির প্রতিকৃতি অঙ্কন। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল কবির জীবনিভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা। দুপুর ১২টায় শুরু হয় আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক শ্রী রাজেশ কুমার কানু, সহকারী শিক্ষক মোঃ জোনায়েদ, সৈয়দ নুর, রবিউল আলম ও আমান উল্লাহ। প্রধান শিক্ষকের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকল শিক্ষক কবির জীবনীর একটি করে অংশের আলোচনা করেন। মোঃ জোনায়েদ কবির ছেলেবেলা, সৈয়দ নুর কবির কর্মজীবন, রবিউল আলম কবির সংগ্রামী জীবন এবং আমান উল্লাহ কবির অর্জন নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান শিক্ষক কবির সাহিত্য, কবিতা, গান ও রচনা নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কাজী নজরুল শুধু আমাদের জাতীয় কবিই নন; তিনি ছিলেন বিপ্লবের প্রতীক। সাম্যের প্রতীক। তাঁর রচিত গান, কবিতা যুগে যুগে বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। অন্যায়-সংগ্রাম বা অধিকার আদায়ের আন্দোলন গুলোতে তাঁর বাণী সকলের মুখে মুখে শোনা যায় এখনও। তিনি আমাদের চেতনার মাঝে লুকিয়ে রয়েছেন। নজরুলের আদর্শকে বুকে লালন করতে পারলে সমাজ থেকে অনাচার ও বৈষম্য দূর হবে। তাই তাঁকে জানতে হবে। তাঁর আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে। আলোচনা শেষে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে শিক্ষা উপকরণ উপহার দেয়া হয়। সবশেষে কবির বিভিন্ন আলোকচিত্র, সিনেমার দৃশ্যে অভিনয়ের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।