উচ্চতর ডিগ্রি লাভের স্বপ্ন দেখে রিতামনি টুডু

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিতামনি টুডু।

রিতামনি টুডু (১৩) পড়ে সপ্তম শ্রেণিতে। তবে এখন থেকেই উচ্চতর ডিগ্রি লাভের স্বপ্ন দেখছে সে। কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার দরিদ্র পরিবারে বাস করলেও স্বপ্ন দেখতে থাকে সে। সেভাবেই কষ্ট করে হলেও নিজের পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে সে। রিতামনিটুডু প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থী।

গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাবুডাইং শান্তিপাড়া গ্রামের সুনিলটুডু ও প্রভাতি মুরমুর তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সে। রিতামনির বড় ভাই রঞ্জিত কোল টুডু এবার একই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেবে। ছোট বোন রিসিতাটুডু দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বাবা-মা দুজনেই কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

আমি অনেক দূর পর্যন্ত পড়ালেখা করতে চাই। পড়ালেখা এগিয়ে নিতে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও সহযোগিতা করেন। তাঁরা আমাদের স্বপ্ন দেখান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হবে। সে স্বপ্নটাকেই বুকে ধরে আছি।

রিতামনিটুডুর পড়ালেখায় আগ্রহ অনেক। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় প্রায় তাকে ধানরোপণ বা খেতে আগাছা পরিষ্কারের কাজ করতে যেতে হয়। সেখান থেকে উপার্জিত টাকায় তার পড়ালেখা ও পোশাক-আশাকের খরচ জোগাতে হয়। তবে মেয়েটা বিদ্যালয়ে নিয়মিত পড়ে আসে। শ্রেণিকক্ষে থাকে খুব শান্তশিষ্ট। সবার কথা শোনে। স্কাউট দলেরও সদস্য সে। আমরা তাকে উৎসাহ দিই। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

রিতামনিটুডু বলে, ‘আমি অনেক দূর পর্যন্ত পড়ালেখা করতে চাই। পড়ালেখা এগিয়ে নিতে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও সহযোগিতা করেন। তাঁরা আমাদের স্বপ্ন দেখান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হবে। সে স্বপ্নটাকেই বুকে ধরে আছি। শত কষ্টের মাঝেই পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছি। নিজে বাল্যবিয়ে করব না বলে পণ করেছি। বাবা-মাও কথা দিয়েছেন, বাল্যবিয়ে দেবেন না। এ ছাড়া নিজে শিক্ষিত হয়ে আমাদের সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া শিশুদের এগিয়ে নিতে চাই।