দারিদ্রতার কশাঘাত সত্ত্বেও ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে কক্সবাজারের দমদমিয়া আলোর পাঠশালার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ হোসন। টমটম চালক বাবা মোহাম্মদ করিমের স্বল্প আয়ে যেখানে নিত্যদিনের অভাব মেটাতে কষ্ট হয়, সেখানে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ছিল এক দুঃসাধ্য স্বপ্ন। তবে দমদমিয়া আলোর পাঠশালার শিক্ষকদের উদ্যোগে হোসনের সেই স্বপ্ন পূরণের পথে নতুন আলো দেখা দিয়েছে।
মোহাম্মদ হোসনের বাবা মোহাম্মদ করিম পেশায় একজন টমটম চালক। সাত সন্তানের সংসারে তাঁর সীমিত রোজগারে পড়াশোনার খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব ছিল। দারিদ্রতার কারণে মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও হোসনের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে, প্রতিবারের মতো হোম ভিজিটে যাওয়া দমদমিয়া আলোর পাঠশালার শিক্ষকগণ মোহাম্মদ করিমের সাথে দেখা করেন। প্রধান শিক্ষক শ্রী রাজেশ কুমার কানু তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে বিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য কোনো টাকা দিতে হয় না। এই কথা শুনে মোহাম্মদ করিম যেন আশার আলো দেখতে পান এবং হোসনকে স্কুলে ভর্তি করান।
বর্তমানে হোসন দমদমিয়া আলোর পাঠশালার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন এবং কবিতা আবৃত্তিতেও সে অত্যন্ত পারদর্শী। হোসনের স্বপ্ন, সে বড় হয়ে একজন ভালো ডাক্তার হবে এবং সমাজের অভাবগ্রস্ত মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেবে।