জাতীয় কবির স্মরণে প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন
প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। চিত্রাঙ্কন, কুইজ ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিষয় ছিল ইচ্ছেমতো। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তিনটি ক্যাটাগরি, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিকে নিয়ে একটি ক্যাটাগরি ও নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি ক্যাটাগরিতে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের পাঠ্যবইয়ে থাকা কাজী নজরুলের কবিতা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার।
প্রতিযোগিতা আয়োজনের পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার হিসেবে বই ও কলম উপহার দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতেই এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস, সহকারী শিক্ষক লুইশ মুর্মু, শিরিনা খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক সাঈদ মাহমুদ।
বক্তারা বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম এমন একজন মানুষ ছিলেন, যার জীবনের মূল সুরই ছিল সাম্য। দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের জীবন পাল্টে দেওয়ার এক গভীর তাগিদ তাঁকে তাড়িয়ে ফিরেছে সারাটা জীবন। যার প্রতিফলন ঘটেছে তাঁর কবিতায় ও জীবনাচরণে। প্রথম জীবনে লেখা সাম্যবাদী কবিতাগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ‘কুলি মজুর’ কবিতার মাধ্যমে তিনি তা প্রকাশও করেন। তাঁর সাহিত্য ও কর্মজীবনের দিকে তাকালে দেখা যাবে দেশপ্রেম ও সততার। তিনি ছিলেন বিদ্রোহী কবি। গেয়েছেন বিদ্রোহের গান। অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করেছেন। প্রতিবাদ করেছেন ধর্মের নামে ভণ্ডামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধেও। তাঁর প্রতিবাদী ভাষা ও বাণী দেখা গেছে নবযুগেও। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন আন্দোলনেও তাঁর লেখা ও বিপ্লবী বাণী শোনা গেছে তরুণদের মুখেও। তাই কাজী নজরুল ইসলামকে জানতে হবে।