স্বাধীনতা দিবসে বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় নানা কর্মসূচি

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করল বাবুডাইং আলোর পাঠশালা।

চিত্রাঙ্কন, কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় গত মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাবুডাইং গ্রামে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন শিক্ষকগণ।

মহান স্বাধীনতা দিবসে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পতাকা আঁকছে এক ক্ষুদে শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালায়।

সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। পরে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি ক্যাটাগরিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কনের বিষয় ছিল ইচ্ছেমতো। অন্যদিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে শহীদ মিনার এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ এবং সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি কার্তিক কোল টুডু, সিনিয়র শিক্ষক লুইশ মুর্মু, সোনিয়া খাতুন, শিরিনা খাতুন, সুদর্শন পাল, সহকারী শিক্ষক উম্মে কুলসুম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা বলে রেশমি খাতুন, ইসরাত খাতুন, সাকিবুল ইসলাম, কাঞ্চন সাইচুরি, নিতলি টুডু প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস। শেষে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়।

কার্তিক কোল টুডু বলেন, ‘আইজ হামরা একটি স্বাধীন দ্যাশে বাস করছি। কিন্তু এ স্বাধীনতা আনতে গিয়্যা অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। রক্ত দিতে হয়েছে। সেসব শহীদদের মনে রাখতে হোইবে, শ্রদ্ধা করিতে হোইবে।’ এ সময় একটি কবিতা পড়ে শোনান তিনি।

অন্যান্য বক্তারা মহান স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এ সময় স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেন প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর।