মনিকা খাতুন রাজশাহী আলোর পাঠশালায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর বাইরেও তার আরেকটি পরিচয় আছে, সে একজন খুদে উদ্যোক্তাও বটে। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় তার বাবার একটি কাপড়ের দোকান ছিল। ব্যবসায় লস করে কাপড়ের দোকানটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সে তার মাকে সঙ্গে নিয়ে একটি মুদির দোকান শুরু করে। মনিকা তখন সবে মাত্র চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেই ছোট বয়সেই সে তার দাদিকে সঙ্গে নিয়ে দোকানের সব মালামাল কিনে আনত। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠার পরে সে একাই বাজার থেকে দোকানের মালামাল কিনে আনে, দোকানে বসে কেনাবেচা করে এবং হিসাব নিকাশ রাখে।
মনিকা খাতুন কারও ওপর নির্ভরশীলতা পছন্দ করে না। সে চায় স্বাবলম্বী হতে। এত কম বয়সে সে দোকান চালাচ্ছে কেননা সে তার খাতা কলম এবং অন্যান্য খরচের জন্য বাবার কাছে টাকা চাওয়া পছন্দ করে না। তা ছাড়া এই কাজটা করতে তার ভালো লাগে। সে এখন শহরের সব জায়গাতে একা একা যেতে পারে। সে তার কাজের মাধ্যমে তার বন্ধুদেরকেও সাহস জোগায়।
মনিকার স্বপ্ন, ভালো করে পড়াশোনা করে একজন সফল ব্যবসায়ী হবে। একটি বড় দোকান করবে সেখানে দরিদ্র মেয়েরা কাজ করবে। এখন থেকেই নানা পরিকল্পনা করছে সে।
মনিকা জানায়, ‘প্রথম আলো ট্রাস্ট বিনা মূল্যে আমাদের পড়ায়। আমাদের অনেক কিছুই দেয়। এ জন্য আমাদের পরিবারের ওপর চাপ কমে যায়। আমি ভালো করে পড়াশোনা করে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।’