বেলজিয়ামের ১২ পর্যটক বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন
‘প্রত্যন্ত একটি অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে একটি বিদ্যালয়। যেখানে শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে পড়ালেখা করে। অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি কৃষিকাজ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নিজেদের পড়ালেখাসহ সংসারের খরচ বহন করে। এটি আবেগপ্রবণ একটি বিষয়। শিক্ষার্থীদের এমন বাস্তবমুখী জীবনব্যবস্থা মন ছুঁয়ে যায়।’
শুক্রবার বাবুডাইং আলোর পাঠশালা ভ্রমণে এসে এমনই মন্তব্য করেন বেলজিয়ামের একটি পর্যটক দলের সদস্য হিলদে নিলে জি. ক্লেজ। দলে ছিলেন ৫২ থেকে ৭৮ বছর বয়সী ১২ জন পর্যটক। তাঁদের মধ্যে সাতজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। দলের নেতৃত্ব দেন জন ভিসকার। বাংলাদেশ ইকো অ্যাডভেঞ্চার নামে একটি পর্যটন সংস্থা তাঁদের এখানে নিয়ে এসেছে।
সকাল নয়টায় তাঁরা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং গ্রামে এসে উপস্থিত হন। প্রথমে তাঁরা কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অধ্যুষিত গ্রামটি ঘুরে দেখেন। তাঁদের জীবনযাত্রার বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নেন। এরপর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আসতেই বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের সদস্যরা তাঁদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায়। তাঁদের সামনে উপস্থাপন করে কোলদের ঐতিহ্যবাহী দাশাই, ঝুমুর নাচ-গান। এ সময় পর্যটকেরা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। তাদের পারিবারিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাঁরা শিক্ষা–উপকরণ বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, সামিট গ্রুপ ও আঞ্জুমান-আজিজ ট্রাস্টের সহযোগিতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোট সাতটি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। এ সব স্কুলে মোট ১ হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী বিনা মূল্যে পড়াশোনা করছে।