প্রথম আলো ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালা থেকে ৭ জন ছাত্র প্রতিভাবান ক্ষুদে ক্রিকেটারদের সন্ধানে বাংলাদেশ (পিকেসিএসবিডি) এর বাছাই পর্বে অংশে নেয়। গতকাল ১৬ মে ২০২৫ পিকেসিএসবিডি’র ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট (২য় পর্ব ২০২৫)’ প্রতিযোগিতায় বান্দরবান জেলা পর্যায় বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করে তারা। বাছাই পর্বটি অনুষ্ঠিত হয় বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামে। বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে অংশগ্রহণ করে। ব্যাটিং, বোলিং ও উইকেট কিপিং এই তিন বিভাগে প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। পিকেসিএসবিডি 'কে হবে আগামীর টাইগার' নামে সারা দেশে এই ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনটি শ্রেণি বা বয়সভিত্তিক গ্রুপ থেকে মোট ২৬৪ জন উত্তীর্ণ হবে। প্রতিটি লেভেলে উত্তীর্ণদের পরবর্তী লেভেলে ডাকা হবে। প্রতিবছর একবার করে সারা দেশ থেকে ট্যালেন্ট হান্ট করা হবে। উত্তীর্ণদের উন্নত ট্রেনিং এবং ১০০টি ক্রিকেট ম্যাচ স্কলারশিপ হিসেবে ফ্রি খেলানো হবে। উত্তীর্ণদের পরিণত এবং প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ট্যালেন্ট হান্ট-২য় পর্বে যারা উত্তীর্ণ হতে পারবে না, তাঁদের জন্য ট্যালেন্ট হান্টের পরবর্তী পর্বে অংশগ্রহণের সুবর্ণ সুযোগ থাকবে।
কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালা থেকে যে ৭ জন ছাত্র এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়, তাদের মধ্যে মিডিয়াম পেস বোলিং ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয় ৭ম শ্রেণির যমজ দুই ভাই উমংহ্লা মারমা ও হ্লামংথুই মারমা। তাদের নির্বাচিত হওয়ার সংবাদ পেয়ে বিদ্যালয়ের সকলে অনন্দ প্রকাশ করে এবং তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানায়। কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক লাপ্রাদ ত্রিপুরা বলেন, 'উমংহ্লা মারমা ও হ্লামংথুই মারমা নির্বাচিত হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তাদের আগ্রহ ছিল। তা ছাড়া তারা দুই ভাই পড়াশোনাতেও অনেক ভালো। আমি চাই তারা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পূরণ করুক।'
উমংহ্লা মারমা ও হ্লামংথুই মারমা বলে, ‘শিক্ষকেরা আমাদের অনেক উৎসাহ দিয়েছেন। সব সময় আমরা তাদের সহযোগিতা পেয়ে আসছি। সামিট গ্রুপ এবং প্রথম আলো ট্রাস্টকে ধন্যবাদ, তারা আমাদের বিনা মূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে দিয়েছেন।’