নাম তার মমতাজ আক্তার, বয়স এগারো বছর। সে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত মেঘনাপাড় ধীবর আলোর পাঠশালার তৃতীয় শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। তার রোল নম্বর ০৬। মমতাজের বাবা মো. দেলোয়ার মাঝি পেশায় একজন অতিক্ষুদ্র জেলে। ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরে কোনো রকম জীবিকা নির্বাহ করেন। যখন নদীতে মাছ না পায়, তখন তাদের ভরণপোষণ তো দূরের কথা জীবন চলতেই অনেক কষ্ট হয়। দেলোয়ার মাঝির তিন মেয়ে, এক ছেলে। অল্প আয়ে তাদের পড়াশোনা করানো তাঁর পক্ষে মোটেই সম্ভব না।
অন্যদিকে মমতাজের মা রুবি আক্তার, পেশায় গৃহিণী। তবে অন্যের বাসায় কাজ করে সংসারের আর্থিক জোগান দেন। তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয়জন, সন্তানদের মাঝে মমতাজ আক্তার তৃতীয় সন্তান। মমতাজ জন্মগতভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার দুইটা পাই বাঁকা, অনেক কষ্টে হাঁটাচলা করতে হয়। এভাবেই অনেক কষ্ট করে বিদ্যালয়ে আসে সে। তার স্বপ্ন, ভালোভাবে লেখাপড়া করে উচ্চশিক্ষা অর্জন করবে। একজন আদর্শবান নার্স হয়ে সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা করবে এবং তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেবে।