নার্স হওয়ার ইচ্ছায় এগিয়ে যাচ্ছে চরের মেয়ে সুমনা

রাজশাহী আলোর পাঠশালার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমনা ইয়াসমিন।

রাজশাহীর চরখিদিরপুরের মেয়ে সুমনা ইয়াসমিন। রাখাল বাবার দ্বিতীয় সন্তান সে। বিগত চার বছর যাবৎ পদ্মা পাড়ি দিয়ে রাজশাহী আলোর পাঠশালায় আসে। এখন দশম শ্রেণিতে পড়ে সুমনা। শান্তশিষ্ট স্বভাবের সুমনা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে। যদি কখনো মনে করে যে, চর থেকে আসতে পারবে না, তখন শহরে ফুপুর বাসায় থেকে স্কুলে আসে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অদম্য ইচ্ছাই তাকে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী করেছে।

সুমনা চায়, তার নিজের কিছু থাকবে। সৎ পথে উপার্জন করার জন্য তার নার্স হওয়ার ইচ্ছে আছে। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেবে সুমনা।

কান্না জড়িত কণ্ঠে সুমনা তার শিক্ষককে জানায়, ‘স্যার বাবার পক্ষে খরচ দিয়ে আমাকে পড়ানো সম্ভব নয়। এখন আমি আলোর পাঠশালায় বিনা বেতনে পড়াশোনা করতে পারছি। কিন্তু কলেজে উঠলে তো আর তা হবে না। তাই এসএসসির পর কি হবে, সেটা জানি না।’

আসলে চরখিদিরপুরের জীবনটা এমনিই সংগ্রামের। তার ওপরে তাকে নদী পাড়ি দিয়ে স্কুলে আসতে হয়। এই বয়সে বাবা-মাকে ছেড়ে, বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়ের বাসায় থাকতে কজনের ভালো লাগে! এই কষ্ট করতে হচ্ছে সুমনাকে। নিয়মিত স্কুলে আসার উদ্দেশ্যে সে বাড়ি ছেড়ে মাঝে মাঝেই এসে ফুপুর বাসায় থাকে। তবুও সে থেমে যেতে চায় না। জীবনযুদ্ধ জয় করতে চায়। আমাদের প্রত্যাশা, সব বাধা অতিক্রম করে স্বপ্নের পথে হেঁটে যাক, সফল হোক।