দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় পুরস্কার বিতরণ

পুরস্কার গ্রহণ করছে দমদমিয়া আলোর পাঠাশালার এক শিক্ষার্থী।

প্রথম আলোর ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত কক্সবাজারের টেকনাফে দমদমিয়া আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়। সামিট গ্রুপের সহযোগিতায় মদমিয়া আলোর পাঠশালাসহ মোট ৬টি স্কুল পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।

গতকাল শনিবার দুপুরে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদুল আলম। তাঁর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আমান উল্লাহ আমান, মো রফিক রানা, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলাম, কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফারুক, জুলফিকার আলী, মোহাম্মদ ইলিয়াস ও কবির আহমদ প্রমুখ। সভায় এলাকার লোকজন, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার গ্রহণ করছে দমদমিয়া আলোর পাঠাশালার এক শিক্ষার্থী।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী এবং বার্ষিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করেছেন তাদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। প্রথম পুরস্কার একটি ব্যাগ, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি জ্যামিতি ও রং পেনসিল বক্স, তৃতীয় পুরস্কার একটি খাতা ও দুটি কলম এবং যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো পুরস্কার পায়নি তাদের একটি খাতা ও একটি কলম তুলে দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের ১৫৮ জন শিক্ষার্থী সকলেই পুরস্কার পায়।

পুরস্কার গ্রহণ করছে দমদমিয়া আলোর পাঠাশালার এক শিক্ষার্থী।

ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আইটেম ছিল ১০ টি। প্রতিটি আইটেমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী মোট ৩০ জন পুরস্কার পায়। বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় শ্রেণি ভিত্তিক ফলাফলে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ১৫ জন। মেধা তালিকায় ৩ জনসহ সব মোট ৪৮ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার গ্রহণ করছে দমদমিয়া আলোর পাঠাশালার এক শিক্ষার্থী।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদুল আলম বলেন, ‘প্রথম আলো ট্রাস্ট এগিয়ে না আসলে হয়তো বা এখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেত। আজ এসব শিক্ষার্থীদের মুখে আনন্দের হাসি দেখা যেত না। এ জন্য প্রথম আলো আসলেই একটি পত্রিকায় নয়, এটি আসলেই সমাজের আলোকিত দর্পণ। প্রায় বন্ধ হয়ে পড়া বিদ্যালয়টির অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দু: সময়ে এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানাই। নতুন বছরের শুরুতেই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।’