জ্ঞান অর্জনের জন্য বেশি বেশি বই পড়তে হবে

বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বই পড়া কর্মসূচি পালন।

জ্ঞান অর্জনের জন্য বেশি বেশি বই পড়তে হবে। বই মানুষের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। একটি ভালো বই, আমাদের বিকশিত করতে সাহায্য করে। তাই পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি আমাদের বেশি বেশি শিক্ষামূলক বই পড়তে হবে। বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি বই পড়তে উৎসাহী হতে এমনই পরামর্শ দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার দুলাল চক্রবর্তী। গত সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বই পড়া কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওই দিন সকাল ১০টায় বাবুডাইং আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক দুলাল চক্রবর্তীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ফুল দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানায়। এরপর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠাগার ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের বই পড়া বিষয়ে খোঁজ নেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বই নিয়ে কথা বলেন।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার দুলাল চক্রবর্তীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। এরপর বক্তব্য দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিনিধি দুলাল চক্রবর্তী। তিনি বই পড়া কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি পঠিত বইগুলো নিয়েও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে: স্ফূর্তভাবে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। এ সময় তিনি গত বছর পঠিত বইসমূহ নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। বিজয়ীদের পরবর্তীতে পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, তোমরা যে সকল বই পড়বে, সেগুলোর মূলভাব বা গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো সঙ্গে সঙ্গে নোটবুক বা খাতায় লিখে রাখবে। তাহলে পরবর্তীতে তা সহজেই মনে পড়বে। এ বছর পড়া বইগুলো নিয়ে আবারও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। তাই বইগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে, নোট নিতে হবে।

আলী উজ্জামান নূর বলেন, পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি জ্ঞানমূলক বই পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো বিকশিত করতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। এ উদ্যোগের ফলে প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা বই না কিনেও পড়তে পারছে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কারও পাচ্ছে। এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পেরে আমরা আনন্দিত। ধন্যবাদ জানাই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস, সিনিয়র শিক্ষক লুইশ মুর্মু, বিমল হাঁসদাক্, বিদ্যালয়ের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির সংগঠক সাঈদ মাহমুদ।