বাহারি ফুলে ভরে গেছে গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার আঙ্গিনা

ফুলে ফুলে ভরে গেছে বাগান।

বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে বাগান করার অনেক সুফল রয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান বাড়াতে, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে এবং বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষাগত দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালায় বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বাগান পরিচর্যার কাজে অংশ নেয়। এতে তাদের পড়ালেখার পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য গঠন ও মানসিক প্রশান্তির ভূমিকা পালন করে থাকে।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার সামনে এই বাগানটি তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা। এতে রয়েছে নানা জাতের গাছ। যেমন: আমলকী, শিউলি, জবা, টগর, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা, গোলাপ, রঙ্গন, কামিনী, গাঁদা, সূর্যমুখী, মরিচ, মাধবীলতা ও সারি সারি সুপারি গাছ। এ ছাড়া মাঠের চার পাশে রয়েছে কৃষ্ণচূড়া গাছ।

ফুলে ফুলে ভরে গেছে বাগান।

আলোর পাঠশালার বাগানে ঔষধি গাছ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রকমের সুগন্ধি ফুলের গাছ। কিছু ফুল আছে রাতে ফুটে। বর্ষার ছোঁয়ায় প্রাঙ্গণ জোড়ে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সুগন্ধি সব ফুল। কামিনী, গন্ধরাজ, শিউলি ফুলের সুবাসে মুখরিত স্কুলের চারপাশ।

গুড়িহারী গ্রামের এক ব্যক্তি মো. আব্দুল মোত্তালিব বলেন, আমার কাছে বিদ্যালয়ের আকর্ষণীয় দিকটি হচ্ছে ফুলের বাগান। যখন সব গাছে ফুল ফোটে তখন দেখতে খুব ভালো লাগে। আমি স্কুলের দিকে আসলে একবার হলেও বাগানের দিকে যাই এবং ফুলগুলো দেখি।

ফুলে ফুলে ভরে গেছে বাগান।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ফাতেমা খাতুন বলে, 'আমি প্রতিদিন স্কুল শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে এসে বান্ধবীদের নিয়ে বাগানের সব গাছে পানি দিই এবং গাছের গোড়া পরিষ্কার করি। শিউলি ফুল দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।'

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রাজিত দাস বলেন, ফুলবাগান একটি স্কুলের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না সেই সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনের খোরাক মিটিয়ে থাকে। বাগান পরিচর্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আরও কর্মঠ ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে পারে।