বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারনা পূর্ণিমা। বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর ও ভক্তিপূর্ণ বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালা শিক্ষার্থীদের প্রবারণা উৎসব। দীর্ঘ তিন মাস ত্যাগ ও সাধনায়, নিজেকে আত্মসুদ্ধি ও সৎ কর্মের মাধ্যমে অতিক্রম করে ভক্তিপূর্ণ বিশ্বাস ও পুণ্য লাভের জন্য ভগবান বুদ্ধের কাছে তারা প্রার্থনা করেছে। এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মে তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। প্রবারণা পূর্ণিমা মূলত বৌদ্ধের জন্মগ্রহণ, গৌতম বুদ্ধের বুদ্ধত্ব ও নির্বান লাভ, এবং বুদ্ধের মৃত্যুর এই তিনটি বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদযাপন করা হয়।
বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতি হল, জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক, দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ করুক। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে গৌতম বুদ্ধের সম্মুখে আরাধনা ও প্রার্থনা করেন। তাদের মনোবাঞ্চা ছিল অশান্ত এই পৃথিবীর শান্তি , একটা দেশের সাথে আরেকটা দেশ যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ হওয়া , বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ, বিশ্বেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ফিরে আসার জন্য ভগবান বুদ্ধর কাছে ভক্তিপূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে তারা প্রার্থনা করেছেন।
আমরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মানুষের মঙ্গলের এবং শান্তির জন্য কাজ করি। দ্বিতীয় দিনে আমরা সবাই ভগবান বুদ্ধচরন তলে প্রদীপ প্রজ্বলন এবং আকাশে ফানুস উড়ানোর মধ্য দিয়ে প্রার্থনা করেছিলাম আমাদের জীবন যেন প্রদীপের মতো উজ্জ্বল ও আলোকিত হয়, সকল জাতির মানুষের শান্তি বয়ে আনুক এমন প্রত্যাশা নিয়ে ভগবান বুদ্ধর কাছে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলাম। সর্বশেষে সকলকে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা।