গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসা: জান্নাতুন খাতুন। বাবার নাম মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। মায়ের নাম মোসা: রোজিনা বেগম। জান্নাতুল এর বাবার নিজস্ব কোন জমি নেই। দিনমজুরের কাজ করে কোনো রকমে তাদের সংসার চলে। জান্নাতুনেরা তিন বোন। বোনদের মধ্যে জান্নাতুন সবার বড়। এই অভাবের সংসারে তাদের তিন বোনের পড়াশোনার খরচ চালানো খুব কঠিন । তবুও তার বাবা হাল ছাড়েননি। তিনি তার তিন মেয়ের পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুন খাতুন লেখাপড়ায় বেশ ভালো। সে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে এবং পড়াশোনায় বেশ মনোযোগী। জান্নাতুন খাতুন খুব শান্ত স্বভাবের মেয়ে। তার বাবার কষ্টকে সার্থক করে জান্নাতুন চায় নিজে কিছু করতে। তাই সে পড়াশোনাকেই সাফল্যের মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে। গুড়িহারী-কামদেরপুর আলোর পাঠশালা সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দেয় এই জান্নাতুনের মত হত দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরকে।
জান্নাতুন খাতুন বড় হয়ে শিক্ষক হতে চায়। সে বলে, ' আমি বড় হয়ে লেখাপড়া শিখে শিক্ষক হতে চাই এবং এ সমাজকে শিক্ষিত করার কাজ করতে চাই। কারণ আমি জানি একমাত্র শিক্ষাই মানুষকে উন্নতির পথে ধাবিত করতে পারে। আমি দেখেছি আমাদের সমাজে যারা শিক্ষিত তাদের জীবন তুলনামূলকভাবে সুন্দর। তাই আমি আমার শিক্ষা দীক্ষা দিয়ে এই সমাজকে শিক্ষিত করতে চাই। আর আমার এ প্রচেষ্টার জন্য আমাকে শিক্ষকতার পেশা বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি আমি আমার পরিবারের জন্য কিছু করতে চাই। আমি চাই আমার বাকী দুই বোনও শিক্ষিত হয়ে সমাজের জন্য কিছু করুক।' জান্নাতুল এর বাবা বলে,আমার মেয়ে লেখাপড়া বেশ ভালো সে লেখাপড়া শিখে শিক্ষক হতে চায়। এই অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াতে চায়। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করছি আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য। আলোর পাঠশালার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তারা বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ না দিলে আমার পক্ষে পড়াশোনা চালানো সম্ভব ছিল না।