স্বাস্থ্যকর্মী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছে সুর্মিলা

সামিট গ্রুপের সহযোগিতায় পরিচালিত প্রথম আলো ট্রাস্ট বাবুডাইং আলোর পাঠশালার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুর্মিলা হাসদা।

স্বাস্থ্যকর্মীরা বিদ্যালয়ে এসে শিশু ও মায়েদের টিকা প্রদান ও বিদ্যালয়ের শিশুদের ভিটামিন খাওয়ায়। এটা দেখে স্বাস্থ্যকর্মী হওয়ার আগ্রহ তৈরি হয় সুর্মিলা হাসদার। এ ছাড়া মনে জাগে নানা কৌতূহল। কৌতূহল দূর হয় বিদ্যালয়ের কিশোরী শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষিকাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক আলোচনায়। সেখান থেকে শিশুদের সময়মতো পোলিও, হাম ও রুবেলাসহ নানা টিকা দেওয়া ও ভিটামিন খাওয়ানোর উপকারিতা জানতে পারে। এ ছাড়াও  পিরিয়ডের সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, জন্মনিয়ন্ত্রণ বিষয়েও নানা তথ্য জানতে পারে। সুর্মিলা হাসাদা উপলব্ধি করতে পারে— এতদিন গ্রামের অধিকাংশ নারী ও শিশুরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। আর এ জন্যই তার গ্রামে প্রায় প্রতিটি পরিবারে জন্মনিয়ন্ত্রণ নেই, পর্যাপ্ত ভিটামিন ও স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার কারণে নানাদিক থেকেই রয়েছে পিছিয়ে। তাই বড় হয়ে নিজেকে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত করার স্বপ্ন দেখে সুর্মিলা।

সামিট গ্রুপের সহযোগিতায় পরিচালিত প্রথম আলো ট্রাস্ট বাবুডাইং আলোর পাঠশালার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুর্মিলা হাসদা।

স্বপ্ন দেখা এই মেয়েটি প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাবুডাইং গ্রামের কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শুকুদ্দি হাসদা ও ফুলবতির সংসারের বড় মেয়ে সে। তার ছোট দুই ভাই আদিত্য হাসদা দ্বিতীয় ও আদিরণ হাসদা প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিতে একই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। বাবা গ্রামেই গোয়ালার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদেরও স্বপ্ন, সুর্মিলা পড়ালেখা করে সমাজের জন্য কিছু করবে।

সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে সুর্মিলা হাসদা। সে নিয়মিত স্কুলে যায়। পড়াশোনাতেও মনোযোগী। স্কুলের সাংস্কৃতিক দলেরও নেতা সে। আলপনা আঁকাতেও পটু। সকল শিক্ষকই তাকে ভালোবাসে। তার স্বপ্ন যেন পূরণ হয়, সেজন্য শুভ কামনা।