বিজয় দিবসে রাজশাহী আলোর পাঠশালায় নানা আয়োজন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহী আলোর পাঠশালায় নানা আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে রাজশাহী প্রথম আলো বন্ধুসভা।
সকালে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বন্ধুসভার সদস্যরা স্কুলের পাশে তালাইমারী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করেন। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বেলুন ফাটানো, বস্তা দৌড়, ছেলেদের মোরগ লড়াই, মেয়েদের জলে-ডাঙায় ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজয় দিবস নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুইটি দলে ভাগ হয়ে অংশ নেয়। এতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সপ্তম শ্রেণির মো. রাহি। অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির একই প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে অষ্টম শ্রেণির মেঘলা খাতুন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির মোসা. সোহানা। অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির একই প্রতিযোগিতায় সপ্তম শ্রেণির মো. রাহি প্রথম হয়।
বেলুন ফাটানো প্রতিযোগিতায় স্কুলের মেয়েদের দুটি দল অংশ নেয়। এতে প্রথম হয় ষষ্ঠ শ্রেণির সুইটি খাতুন। মেয়েদের ‘জলে ডাঙায়’ খেলায় প্রথম হয় ষষ্ঠ শ্রেণির জেসমিন খাতুন। ছেলেদের মোরগ লড়াই প্রথম হয় অষ্টম শ্রেণির মো. আলিফ। বস্তা দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় ষষ্ঠ শ্রেণির মো. সিফাউল হক।
দুপুরে পুরস্কার বিতরণের আগে বিজয় দিবস নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে সামনে বসা শিক্ষার্থীদের বিজয় দিবস নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা হয়। কুইজে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। আলোচনায় বক্তব্য দেন প্রথম আলো রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী আলোর পাঠশালা স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মাসুদ রানা, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুন ও দুজন শিক্ষার্থী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, বন্ধুসভার উপদেষ্টা মো. ফারুক হোসেন, বর্তমান সভাপতি সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুন বলেন,‘ দীর্ঘ ৯ মাসের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা আর আত্মত্যাগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই যুদ্ধ ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের ২৩ বছরের বৈষম্য, অত্যাচার, দুঃশাসনের ফলাফল। বীর বাঙালি যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ করে। ন্যায়ের যুদ্ধে তাঁরা বিজয়ী হন। সেই মহান বিজয় দিবস আজ। এই স্বাধীনতা, বিজয় দিবসের চেতনাকে ধরে রেখে কাজ করে যেতে হবে।’