অভাবকে জয় করে এগিয়ে চলেছে সঙ্গীত দাস

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার সপ্তম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র সঙ্গীত দাস।

অভাবের সংসারেও পড়াশোনা থামেনি সঙ্গীতের। রামাপাড়া আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা সঙ্গীত দাস গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার সপ্তম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। বাবা বিমল দাস একজন ভ্যানচালক এবং মা সনেকা দেবী অন্যের জমিতে কাজ করার পাশাপাশি সেলাইয়ের কাজ করে কোনোমতে সংসার চালান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সঙ্গীত সবার বড়।

পরিবারের শত কষ্টের মধ্যেও সঙ্গীতের পড়াশোনা চলছে নিয়মিত। ২০২০ সালে টিকরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে সে ২০২৪ সালে আলোর পাঠশালায় ভর্তি হয়। লেখাপড়ায় সে বেশ ভালো এবং তার প্রবল ইচ্ছা বড় হয়ে ডাক্তার হওয়া। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সঙ্গীত বলে, ' আমাদের সমাজে অনেক গরীব মানুুষ আছে যারা টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। আমি সে সকল গরীব-দুঃখী মানুষের বিনামূল্যে সেবা দিয়ে যেতে চাই।' সঙ্গীতের মা সনেকা দেবী জানান, ' হামি মূখ্য সূখ্য মানুুষ বাপু লেখাপড়ার কিছু বুঝিনা। হামার ব্যাটা বেলে ভালো করে লেখাপড়া করে ডাক্তার হোবে। হামার সংসার চ্যালাতে যতই কষ্ট হোক তাও হামি হামার ব্যাটার পড়া চ্যালাতে চাই। হামার ব্যাটা যানে মানুষের মত মানুুষ হয়ে গরীব মানুষের সেবা করতে পারে সেটাই হামি আশির্বাদ করি। আমাদের শত কষ্ট হলেও আমরা আমাদের সন্তানের মনের আশা পূরন করমু।'

রামাপাড়া গ্রামের তারাপদ দাস জানান, সমাজের লোকজন আমাদের ছোট করে দেখে। কিন্তু আমরা থেমে নাই। সেরকমই আমাদের গ্রামের এক ছোট ভাই লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আর্শীবাদ করি সে যেন তার মনের আশা পূরন করতে পারে। আদিবাসীরা শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও সঙ্গীতের মতো ছাত্ররা স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, যা সমাজের জন্য এক আশার আলো। আর তদের এই স্বপ্ন পূরণের জন্য এগিয়ে এসেছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।