টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া গ্রামের দিনমজুর মোঃ আইয়ূব-এর ছেলে মোঃ আরমান। দমদমিয়া আলোর পাঠশালার তৃতীয় শ্রেণির এই নিয়মিত শিক্ষার্থী বড় হয়ে একজন সৎ, আদর্শবান ও সাহসী পুলিশ অফিসার হতে চায়। বাবার কষ্ট দূর করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করাই তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য। মোঃ আরমান দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তার বাবা মোঃ আইয়ূব দিনমজুরের কাজ করে অত্যন্ত কষ্টের সাথে সংসার চালান। প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করেননি। বাবার এই সংগ্রাম আরমানের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছে, যা তাকে জীবনে সফল হওয়ার জন্য পরিশ্রমী ও দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হতে উৎসাহিত করেছে।
মোঃ আরমান জানায়, ' জীবনে সফল হতে হলে পরিশ্রম ও দৃঢ় মনোবল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও মন দিয়ে পড়াশোনা করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। দমদমিয়া আলোর পাঠশালা আমার জ্ঞান ও শিক্ষার প্রথম ভিত্তি। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাকে সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন।' শিক্ষক-অভিভাবকের সহযোগিতা এবং নিজের অবিরাম চেষ্টার ফলেই আরমানের মনে এই বড় স্বপ্ন জন্ম নিয়েছে। পুলিশ অফিসার হয়ে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে মানুষের নিরাপত্তা ও সমাজের শান্তি নিশ্চিত করতে চায়। আরমান আরও বলে, ' আমি পুলিশ অফিসার হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই এবং সংসারের বাবার কষ্ট দূর করতে চাই।'
দমদমিয়া আলোর পাঠশালার সহকারী শিক্ষক রবিউল আলম আরমানের এই স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। আরমানের বাবা মোঃ আইয়ূবও ছেলের স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টা করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং প্রথম আলো ট্রাস্টের কাছে সহযোগিতা ও সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। আরমান তার স্কুলের সকল শিক্ষক ও প্রথম আলো ট্রাস্টকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।