বিনা মূল্যে স্কুল ড্রেস পেল মদনপুর আলোর পাঠশালার ১০৯ শিক্ষার্থী

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত মদনপুর আলোর পাঠশালার ১০৯ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করা হয়েছে।

মদনপুর ইউনিয়ন ভোলা জেলার দৌলতখানা উপজেলায় মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ জেলে, কৃষক এবং রাখাল। এই চরে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নেই। ফলে পঞ্চম শ্রেণি পাসের পর শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চিরতরে বন্ধ হয়ে যেত। এমতাবস্থায় প্রথম আলো ট্রাস্ট উদ্যোগে ২০১৫ সালে মদনপুর আলোর পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি এখন পর্যন্ত সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।

প্রথম আলো ট্রাস্ট অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শীতবস্ত্র, শিক্ষা উপকরণ এবং বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মদনপুর আলোর পাঠশালায় ১০৯ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করা হলো।

মদনপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুল ড্রেস তুলে দেওয়া হচ্ছে।

স্কুল ড্রেস বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলার প্রথম প্রতিনিধি নেয়ামত উল্লাহ, মদনপুর আলোর পাঠশালার সহসভাপতি এবং অত্র ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ফারুক দৌলত, বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। ড্রেস বিতরণের সময় ফারুক দৌলত বলেন, প্রথম আলো একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগসহ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে থাকে। এ জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের ঠিকমতো লেখাপড়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুল ড্রেস তুলে দেন।

নতুন ড্রেস পেয়ে আলোর পাঠশালার অসহায় ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সপ্তম শ্রেণির পিতৃহারা শিক্ষার্থী নাসিমা বেগম জানায়, গত ঈদেও নতুন কোনো ড্রেস কিনতে  পারেনি। এখন সে নতুন ড্রেস পেয়ে যেন ঈদ-আনন্দ উপভোগ করছে। এ জন্য সে প্রথম আলো ট্রাস্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, সামিট গ্রুপ ও আঞ্জুমান-আজিজ ট্রাস্টের সহযোগিতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোট সাতটি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। রাজশাহীতে ২ টি, কুড়িগ্রাম, ভোলা, নওগাঁ, টেকনাফ ও বান্দরবানে ১টি করে মোট সাতটি স্কুলে ১ হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী বিনা মূল্যে পড়াশোনা করছে।