ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত
বর্তমানে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ১০ আগস্ট প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এ বছরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪ জন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাত হাজার ৭৬৭ জন। এটি একটি গুরুতর সমস্যা।
এই বিষয়কে সামনে রেখে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালা ও মদনপুর আলোর পাঠশালায় ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক’ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ১৩ আগস্ট কুড়িগ্রামে অবস্থিত প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালা এবং ১৪ আগস্ট ভোলার মদনপুর আলোর পাঠশালায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক নানা পোস্টার লেখা ও উপস্থাপন করা হয়। সচেতনতামূলক নানা উপস্থাপনার শেষে দুই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
মদনপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন বলেন, গতকাল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে যেমন আলোচনা সভা, র্যালি, দলীয়ভাবে পোস্টার লেখা ও উপস্থাপনা, বিদ্যালয়ের আঙিনা পরিষ্কার করা করা হয়। এতে করে ডেঙ্গু সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা ধারণা পেয়েছে। যেমন ডেঙ্গুর লক্ষণ, ডেঙ্গু হলে করণীয়, ডেঙ্গুর প্রাথমিক চিকিৎসা কী হতে পারে—এগুলো সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে।
কুড়িগ্রামের প্রথম আলো চর আলোর প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, আমাদের স্কুলে ‘ডেঙ্গু মুক্ত সমাজ করি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি’ স্লোগানকে সামনে রেখে নানা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেমন জ্বরের কারণ, ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গু হলে প্রতিকার কী হতে পারে—এগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে, পোস্টার লেখা ও উপস্থাপন করে। পরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আলোচনা সভা করেন। শেষ ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উল্লেখ্য, সামিট গ্রুপ ও আঞ্জুমান-আজিজ ট্রাস্টের সহযোগিতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোট সাতটি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। রাজশাহীতে ২টি, কুড়িগ্রাম, ভোলা, নওগাঁ, টেকনাফ ও বান্দরবানে ১টি করে মোট সাতটি স্কুলে ১ হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী বিনা মূল্যে পড়াশোনা করছে।