রাজশাহী আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আসমাউল হুসনা সকাল। বাবা মায়ের তিন মেয়ের মধ্যে সকাল সবার ছোট। তার বাবা অটো চালক এবং মা দরজির কাজ করে। শত অভাবের মধ্যেও তাদের তিন মেয়েকে লেখাপড়া করানোর চেষ্টা করেছেন, যাতে তারা একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়। কিন্তু অভাবের কারণে সকালের বড় বোনের এসএসসি পাশের পরেই বিয়ে হয়ে গেছে। এখন তারা দুই বোন এক সাথে রাজশাহী আলোর পাঠশালায় পড়াশোনা করছে।
স্বপ্ন নিয়ে জানতে চাইলে সকাল বলে, ‘আমি ডাক্তার হয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। অভাবের কারণে মাঝে মাঝে আমার বাবা-মা যথাযথ চিকিৎসা নিতে পারে না। অসুস্থ শরীর নিয়েই অনেক সময় বাবা অটো নিয়ে বেড়িয়ে যায়। আমার মতো অনেক গরিব পরিবার টাকার জন্য চিকিৎসা নিতে পারে না। আমি চেষ্টা করব তাদের জন্য কিছু একটা করতে। তাই আমি পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
সকালের বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি চেষ্টা করব। তাকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে চাই না। রাজশাহী আলোর পাঠশালাকে ধন্যবাদ। তারা বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ না দিলে আমার পক্ষে মেয়েকে পড়ানো সম্ভব ছিল না। তার শিক্ষকগণ তার স্বপ্ন পূরণে তাকে সব সময় উৎসাহিত করে।’