রুমানের স্বপ্ন বড় হয়ে ডাক্তার হবে

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত গুড়িহারী- কামদেবপুর আলোর পাঠশালার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমান হোসেন।

গুড়িহারী- কামদেবপুর আলোর পাঠশালার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমান হোসেন। সে বাস করে গুড়িহারী গ্রামে। তার বাবা মোঃ বদিউজ্জামান এবং তার মা মোসা: রুমানা বেগম। তারা দুই ভাই। রুমান হোসেন দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট। রুমান গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালায় ২০২২ সালে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর সে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। তার আরো একটা অর্জন আছে সেটা হলো ২০২২ থেকে ২০২৪ ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীতে শতভাগ উপস্থিতি। রুমান লেখাপড়ায় বেশ মনোযোগী।

রুমানের বাবা বদিউজ্জামান গুড়িহারী গ্রামের একজন কৃষক। রুমান লেখাপড়ায় যেমন মনোযোগী সংসারের কাজেও তেমন মনযোগী। বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পর বাবাকে জমির কাজে সাহায্য করে। মায়ের সাথে বাড়িতে হাঁস- মুরগী লালন-পালন করে। কেন ডাক্তার হতে চাও এমন প্রশ্নে রুমান বলে,' বর্তমানে প্রতিটি ঘরে ঘরে রোগী দেখা যাচ্ছে। সমাজে সচেতনতা না বাড়ালে আগামী প্রজন্ম বিকল হয়ে পড়বে। তাই ডাক্তার হয়ে আমি রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পারব। এবং সমাজে স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য কাজ করে যেতে পারবো। আমাদের এলাকার মানুষ দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত। তারা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পায় না। আমি তাদের জন্য কিছু করতে চাই।' গুড়িহারী- কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রাজিত দাস বলেন, 'রুমান অসম্ভব মেধাবী একজন শিক্ষার্থী। সে তার পড়াশোনায় খুব মনোযোগী। সঠিক পরিবেশ ও পরিচর্যা পেলে সে অবশ্যই তার জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।'