ডাক্তার হয়ে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করতে চায় অংক্যসিং

কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী অংক্যসিং মারমা।

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী অংক্যসিং মারমা। তার পিতার নাম শৈক্যচিং মারমা এবং মাতার নাম মাগচিং মারমা। মংপ্রু পাড়ায় তিন ভাই আর বাবা-মাকে নিয়ে তাদের সংসার। তার বাবা একজন কৃষক আর মা গৃহিণী। অংক্যসিং মারমা পরিবারের অভাব অনটনের মধ্যেও পড়ালেখা করে নিজের ভাগ্য বদলাতে চায়। তাদের এলাকার অনেক মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। ঠিক মতো চিকিৎসার অভাবে অনেক মা ও শিশু মৃত্যু বরণ করে। তাই অংক্যসিং মারমা ডাক্তার হতে চায়।

তার বাবা-মা সবসময় চাইতেন ছেলে যেন ভালো করে লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হয়। তাই, তারা নিজেদের কষ্ট হলেও ছেলেদের পড়ালেখার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই করছেন। তারা যাতে পড়ালেখা করে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। অংক্যসিং মারমা বলে, ' ছোটোবেলা থেকেই অসুস্থ মানুষের কষ্ট দেখে আমার খুব খারাপ লাগত। তাই আমি সবসময় চাই তাদের পাশে থেকে তাদের কষ্ট কমাতে। ডাক্তার হয়ে তাদের জন্য অবদান রাখতে চাই। সুস্থ্য সমাজ গড়তে হলে প্রত্যেকটি মানুষকে সুস্থ্য থাকতে হবে। ডাক্তার হিসেবে আমি সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কাজ করতে চাই এবং একটি সুস্থ্য সুন্দর সমাজ গঠনে অবদান রাখতে চাই। ডাক্তার হয়ে আমি আমার জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে মানুষের জীবনকে উন্নত করতে চাই। আমি আমার এই স্বপ্নকে সত্যি করতে কঠোর পরিশ্রম করব এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব।' কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক লাপ্রাদ ত্রিপুরা বলেন, অংক্যসিং মারমা বিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র। সে পড়ালেখায় অত্যন্ত মেধাবী। যে কারোও বিপদে সে সবার আগে ছুটে যায়। সে ডাক্তার হয়ে সমাজের মানুষের জন্য কিছু করতে চায়। আমিও চাই সে তার স্বপ্ন পূরণ করুক।