আলোর পাঠশালায় সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়

স্বাধীনতা দিবস ডিসপ্লেতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কচ্ছপতলী নিম্ন মাধ্যমিক আলোর পাঠশালা।

শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও শারীরিক বিকাশের লক্ষ্যে সাতটি আলোর পাঠশালায় নিয়মিত সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাতটি আলোর পাঠশালায় নিয়মিতভাবে সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন,  বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, স্কাউটিং প্রভৃতি বিষয়ে নিয়মিত   কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সাতটি আলোর পাঠশালায় নিয়মিতভাবে শরীর চর্চা শেষে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিনগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা।

 সহপাঠ্যাক্রমিক কার্যক্রম নিয়মিত অনুষ্ঠিত হওয়ায় আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা  স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কিছু ইভেন্টে পুরস্কৃত হয়েছে। বাংলার গৌরবময় সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে স্বাধীনতা দিবস–২০২৪ ডিসপ্লেতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কচ্ছপতলী নিম্ন মাধ্যমিক আলোর পাঠশালা। প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত আলোর পাঠশালাটি বান্দরবান জেলার রেয়াংছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় অবস্থিত গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতা দিবস কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ক‌রে দ্বিতীয় স্থান অ‌ধিকার ক‌রে।

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা স্কাউটিং কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

এ প্রসঙ্গে বাবুডাইং আলোর পাঠশালা প্রধান শিক্ষাক আলী উজ্জামান নুর বলেন, শ্রেণি কক্ষের পড়াশোনার বাইরে যে কার্যক্রমগুলো নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয় এবং শিক্ষার্থী জীবনকেন্দ্রিক শিক্ষায় দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠে তাকেই আমারা সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম বলে থাকি। নতুন শিক্ষাক্রমেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীর পাশাপাশি শিক্ষকদেরও এসব বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। প্রতি সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন আয়োজন আমারা নিয়মিত করছি। আমাদের উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীরা তাদের মনের জানালা খুলে আনন্দ-আড্ডা ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শিক্ষা লাভ করুক।

 উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি, এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। অবহেলিত এসব এলাকার শিশুরা শিক্ষার পরিবর্তে অল্প বয়সেই বিভিন্ন কায়িক শ্রমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ত। এর পেছনে অসচেতনতার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব ছিল একটি বড় কারণ।

সামিট গ্রুপ ও আঞ্জুমান-আজিজ ট্রাস্টের সহযোগিতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোট সাতটি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। কুড়িগ্রামে ১টি, রাজশাহীতে ২টি, ভোলায় ১টি, নওগাঁয় ১টি, টেকনাফে ১টি ও বান্দরবানে ১টি করে সাতটি স্কুলে মোট ১ হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী বিনা মূল্যে পড়াশোনা করছে।