চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বরেন্দ্র এলাকার ঝিলিম ইউনিয়নের ফিল্টিপাড়া গ্রামে বাস করে কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বেশ কয়েকটি পরিবার। প্রায় সকল পরিবারেরই প্রধান পেশা কৃষিকাজ বা গরু-ছাগল লালনপালন করা। গ্রামে কোন বিদ্যালয় নেই। সেই গ্রামেরই একজন শিক্ষার্থী শুশিতা সরেন। সে বাবুডাইং আলোর পাঠশালার নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এখন থেকেই সে স্বপ্ন দেখে চিকিৎসক হবার। সেই লক্ষ্য নিয়ে পড়ালেখা করে এগিয়ে যাচ্ছে সে।
শুশিতা সরেনের বাবা কান্তনাথ একজন কৃষক। মা কমলা রানী একজন গৃহিনী। পাশাপাশি গরু চরানোর কাজও করেন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে শুশিতা সরেন সবার ছোট। শুশিতার বড় ভাই নির্মল কোল বাবুডাইং আলোর পাঠশালার সহকারী শিক্ষক। মেজো ভাই নরসুন্দরের কাজ করলেও সেজো ভাই মাহান্ত সরেন গ্রাম্য ডাক্তারির পেশায় যুক্ত আছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে দায়িত্ব শেষে গ্রামের মোড়ে পল্লী চিকিৎসকের দোকানে বসেন। অন্য ভাই রাজমিস্ত্রির কাজে যুক্ত। শুশিতার বড় বোন এ বছর বাবুডাইং আলোর পাঠশালা থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছা শুশিতা পড়ালেখা করে একজন চিকিৎসক হবে। সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিবে। নির্মল কোল বলেন, 'শুশিতা সরেন লেখাপড়ায় ভালো। কোল ভাষায় কবিতাও লিখে সে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার স্বরচিত কোল ভাষার একটি কবিতা দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার গোল্লাছুট পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল। সে তার লেখাপড়ার পাশাপাশি গান ও নৃত্য শিল্পী হিসেবে নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে থাকে।'