নাট্যকলায় পড়তে চায় মৌমিতা হাসদা

বাবুডাইং আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক দলের সদস্য মৌমিতা হাসদা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে পড়াশোনা করতে চায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক দলের সদস্য মৌমিতা হাসদা। নাচ-গান ও স্কাউটিংয়েও পটু সে।

আলোর পাঠশালার শিক্ষকদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্প শুনেছে সে। যেখানে নানা বিষয়ের পাশাপাশি নাট্যকলা বিভাগেও পড়াশোনা করা যায়। নাট্যকলা বিভাগে অভিনয়, নাচ-গানসহ নানা  বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ থাকে।এগুলো শুনে মৌমিতা হাসদা স্বপ্ন দেখা শুরু করে নাট্যকলায় পড়ার। তাই স্বপ্নটাকে মনের গভীরে লালনপালন করছে এখন থেকেই। সে নিজেকে সেখানে ভর্তির যোগ্য হিসেবে তৈরির প্রচেষ্টায় রয়েছে।

বাবুডাইং আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক দলের সদস্য মৌমিতা হাসদা।

মৌমিতা হাসদা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাবুডাইং গ্রামের বাসিন্দা। বাবা শুকচান্দ হাসদা ও মা রুবতি মুরমুর সংসারের চার সন্তানের মধ্যে ছোট সে। বড় বোনের এসএসসি পাস করার পর বিয়ে হয়ে গেছে। একমাত্র ভাই অমিত কোল হাসদা এবার কলেজে পড়াশোনা করছে। মেজো বোন অনজিতা হাসদা বাবুডাইং আলোর পাঠশালার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা-মা দুজনেই কৃষিকাজ করে। অন্য দুই ভাইবোনও পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষিকাজ করে সংসারে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকে। মৌমিতা সবার ছোট হওয়ায় তাকে কাজ করতে হয় কম।

বাবুডাইং আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর বলেন, ‘ছোট থেকেই নাচ-গানের প্রতি মৌমিতার বিশেষ দুর্বলতা ছিল। তার মেজো বোন অনজিতা হাসদাও বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের সদস্য। মৌমিতাও তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়। তিন সহপাঠীকে নিয়ে সে নিজে একটি সাংস্কৃতিক দল গড়ে তুলেছে। নিজেরা অনুশীলনের পাশাপাশি পাড়ার ছোট বোনদেরও নাচ-গান শেখাতে সাহায্য করে সে। এ ছাড়া পড়াশোনাতেও মৌমিতার অবস্থান ভালো। নিয়মিত স্কুলে আসে এবং পড়া শিখে আসে। নম্র-ভদ্র ও সদা মিষ্টি হাসির মেয়েটা সকল শিক্ষকেরই প্রিয়। বড় হলে তার মনের আশা পূরণ হোক —এই প্রত্যাশা করি।’