ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন আলোর পাঠশালার সাথী টুডুর

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাথী টুডু।

অনেকেই ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আমি একজন ফুটবলার হতে চাই। ভালো ফুটবলার হয়ে দেশ-বিদেশে ঘুরতে চাই। দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। পিছিয়ে পড়া আমাদের কোল সম্প্রদায়ের মেয়েদের উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিতে চাই। কথাগুলো বলছিল রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাথী টুডু।

কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার গ্রাম বাবুডাইংয়ে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম সাথী টুডুর। শংকোলাল টুডু ও কাজলী সাইচুরির পরিবারের বড় সন্তান সে। তার ছোট ভাই নিকোলাস টুডু একই বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তাদের বাবা-মা উভয়ই কৃষিকাজ করে। পাশাপাশি অন্যের জমি বর্গা নিয়েও চাষাবাদ করে। সাথী টুডু ছোট থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কৃষি কাজে অভ্যস্ত। অন্যের জমিতে নিড়ানি, ধান লাগানো, আলু, মসুর, ছোলা ওঠানোর কাজ করে যে উপার্জন করে তা দিয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ মেটানোর পর অবশিষ্ট টাকা বাবার হাতে তুলে দেয় সে।

পড়ালেখার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক দলের সদস্যও সাথী টুডু। এ ছাড়া সে ভালো আলপনা আঁকায় পারদর্শী সে। বিভিন্ন সময় স্কুল, নিজ বাড়িসহ প্রতিবেশীদের বাড়ির মাটির দেয়ালে আলপনা এঁকে দেয় সে।

সাথী টুডু বলে, ‘বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় আমাদের বিনা খরচে পড়ালেখা শেখানোর পাশাপাশি নানারকম দুর্যোগকালে সহায়তা দিয়ে পাশে থেকেছে। শিক্ষকবৃন্দ সার্বক্ষণিক খোঁজ নেন। শিক্ষকদের আন্তরিকতা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা, ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে আমি এগিয়ে যেতে চাই। একজন ভালো ফুটবলার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে চাই। আমার জীবনের স্বপ্নটাকে পূরণ করতে চাই।’