জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠান শুরু সকাল ৯টায়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার ছাত্রছাত্রী, প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ । জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তৃতা দেন গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রাজিত দাস। এ আলোচনায় ওঠে আসে কোটা সংস্কার আন্দোলন কিভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। আলোচনার সারসংক্ষেপ এই ছিল যে, কেউ দূর্নীতির করে ঠিকে থাকতে পারে না। আমারা চাই আমাদের এই জেন-জি (Gen -G) হোক সৎ সাহসী ও দুর্নীতিমুক্ত। আমারা যেখানেই দুর্নীতি দেখব সেখানেই রুখে দাঁড়াব।'
ল
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাফিয়া খাতুন বলে, 'আমরা আমাদের পাঠ্য বইয়ে বাংলা ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা পড়েছি কিন্তু আমরা স্বচক্ষে দেখলাম এই জুলাই আন্দোলন। এই জুলাই আন্দোলন থেকে আমরা অনুধাবন করতে পারি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চিত্র কেমন ছিল। এই আন্দোলনগুলো থেকে আমরা এই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি যে, দুর্নীতিকে দমন করতে হলে বা স্বৈরাচারকে দমন করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলে দূর্নীতি যত বড়ই আকার ধারণ করুক না কেনো, আমরা তা প্রতিহত করতে পারব।'
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে ০১ জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন মর্মান্তিক ঘটনা প্রবাহের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে শিক্ষার্থীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে আজকের দিনের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।