জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে চায় মুস্তাকিন

রাজশাহী আলোর পাঠশালার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুস্তাকিন।

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহী আলোর পাঠশালার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুস্তাকিন। অনেক ছোট বয়সেই তার বাবা-মা আলাদা হয়ে যায়। তাদের দু'জনেরই আলাদা সংসার এখন। মুস্তাকিন তার নানির সাথে থাকে। সেখান থেকেই সে পড়াশোনা করে। নানি বাড়িতে মামা মামি এবং নানিই তাকে দেখে রাখে। তার মা মাঝে মাঝে তার খোঁজ খবর রাখে, কিছু খরচ পাঠায়। কিন্তু বাবার সাথে তার কোনো যোগাযোগ নেই । বড় হতে না হতেই মুস্তাকিন জীবনের নিষ্টুরতা দেখে ফেলেছে। সে এখন এই জীবনটই মেনে নিয়েছে। এই জীবনের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হতে চায় সে।

মুস্তাকিন স্বপ্ন দেখে একদিন একজন সৎ সৈনিক হবে। জীবনে কোনো একটা ভালো কাজ যেনো করতে পারে তারই পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনিতে যেতে চায় মুস্তাকিন। সে এটাও জানে যে, এই পথ টা তার পাড়ি দেয়া মোটেও সহজ নয়। কিন্তু যত কঠিনই হোক সে চায় লক্ষ্যে পৌঁছাতে। মুস্তাকিন প্রমাণ করে দিতে চায় তার মত ভাঙ্গা পরিবারে বড় হয়েও স্বপ্ন দেখার অধিকার সবার আছে। আর তার এ স্বপ্ন সফল করার কারিগর হিসেবে জীবনের শুরুর দিকেই সে পেয়েছে আলোর পাঠশালার মত একটা প্রতিষ্ঠান এবং সম্মানিত শিক্ষাকগণকে, যারা সবসময় ওকে সাহস দেন। নিয়মিত তার খোঁজ রাখেন স্কুলের শিক্ষকরা। সে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ দিতে চায় আলোর পাঠশালা এবং সকল শিক্ষককে। কারণ মুস্তাকিন জানে যদি বেতন দিয়ে পড়তে হত, বা কোনো প্রাইভেট টিউশন করতে হত সেই টাকা তার পক্ষে দেয়া সম্ভব হতোনা। হয়ত তার হাইস্কুল কী এটা চেনাই হতোনা। মুস্তাকিন এজন সফল সৈনিক হয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হোক এটাই সবার প্রত্যাশা।