প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে চায় সাইসাইওয়াং মারমা

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত কচ্ছপতলি আলোর পাঠশালার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইসাইওয়াং মারমা।

পাহাড় ঘেরা সবুজ শ্যামলা, অরণ্যের গহীনে প্রকৃতির লীলায় ও অন্তহীন প্রেরণায়, জ্ঞানের আলোর সন্ধানে পথচলা এক শিক্ষার্থীর নাম সাইসাইওয়াং মারমা। সে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত কচ্ছপতলি আলোর পাঠশালার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার জন্ম বান্দরবান জেলার থলিপাড়া গ্রামে। তার বাবার ছিল একজন সাধারণ জুম চাষী। মা একজন গহিনী। আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়েও তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাবা।

সাইসাইওয়াং মারমা বাবার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে জ্ঞানের উদ্দীপ্ত আলোর সন্ধানে কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালা ভর্তি হন। তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সে ধীরে ধীরে তার স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সাইসাইওয়াং মারমা চিকিৎসক হতে চায়। চিকিৎসক হয়ে সে চায় দুর্গম এলাকায় পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে। কেননা দুর্গম পাহাড়ে কোন অভিজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অনেক অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক এবং অতি দরিদ্র ব্যক্তিরা বিনা চিকিৎসা মৃত্যু বরণ করেছেন। এইসব দেখে সাইসাইওয়াং মারমা চিকিৎসক হওয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেন। এই এলাকার সকল অসুস্থ মানুষকে সে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে চায় । এই এলাকা সর্বস্তরের জনগণকে স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করতে চায় সাইসাইওয়াং মারমা।পরিশেষে বিনামূল্যে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সাইসাইওয়াং মারমা।