নারীর প্রতি সহিংসতা শুধু শারীরিকভাবেই নয়, বেড়েছে ডিজিটাল মাধ্যমেও। এখন প্রকাশ্যে নারী নির্যাতনের পাশাপাশি অনলাইনে নারীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। নারী ও শিশুর প্রতি এমন হয়রানি, নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে সকলকে এক হতে হবে। পারিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি নারীদের জোট হতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে। তবেই নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে উদ্যোগ সফল হবে। সকল নারীর প্রতি ডিজিটাল সহিংসতা বন্ধে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে গত বুধবার দুপুরে এক প্রচারণা কর্মশালায় বক্তারা এসক কথা বলেন। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ফুড ফর দি হাংরি (এফএইচ অ্যাসোসিয়েশন) এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রাম কার্যালয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি গ্রামের নারী ও পুরুষরাও যুক্ত হন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেন্ডার সমতা, নারী ও শিশু নির্যাতন, নারীদের প্রতি ডিজিটাল সহিংসতার স্বরূপ ব্যাখ্যা করেন এফএইচ ঝিলিম কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স সেন্টারের ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর রুপলাল মুরমু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস, সংস্থার বাবুডাইং সিডিসি’র জেন্ডার-বেজড ভায়োলেন্স (জিবিভি) প্রতিরোধ সদস্য লুইশ মুর্মু, নারী নেত্রী কোকিলা মার্ডী, বিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক শাহনিনা প্রামাণিক।
নারী নেত্রী কোকিলা মার্ডী বলেন, ‘আমরা নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি। কর্মক্ষেত্রে একই সমান কাজ করেও পুরুষদের তুলনায় কম মজুরি পাই। পরিবারে নানা কিছু বিষয় নিয়ে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছি। আমাদের সমাজের অধিকাংশ পরিবারে সন্তান লালন-পালনে বাবাদের সঠিক ভূমিকা না থাকলেও স্ত্রী নির্যাতনের ব্যাপারে তারা এগিয়ে থাকে। আমরা চাই সমাজ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ হোক।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিরিনা খাতুন, উম্মে কুলসুম, জিবিভি সদস্য রাজেন হাসদা, জয়ন্ত সরেন প্রমুখ। কর্মশালা শেষে সকলে মিলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে এগিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।