প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বাবুডাইং আলোর পাঠশালার নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন। দেশের সেবায় সেনাবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার স্বপ্ন তার।
আল আমিনকে এ স্বপ্ন দেখতে সর্বক্ষণ সাহস জুগিয়েছে যাচ্ছে বাবুডাইং আলোর পাঠশালা ও তার দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজারুদ্দিন। তিনি বাবুডাইং আলোর পাঠশালার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) একজন সদস্যও। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পদ্মা নদী ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করলেও তিনি হার মেনেছিলেন পদ্মা নদীর ভয়াল ভাঙনের কাছে। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় আগে তিনি এ ভাঙনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বরেন্দ্র ভূমির গহিনে অবস্থিত এক টিলাতে। আল আমিন তাঁর দ্বিতীয় ছেলের বড় সন্তান।
আল আমিনের বাবা কবির হোসেন পেশায় একজন কৃষক। পাশাপাশি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে আল আমিন সবার বড়। আল আমিন ও তার ছোট বোন সুমাইয়া খাতুন বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় বিনা খরচে লেখাপড়া করছে। সুমাইয়া খাতুন প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অন্যজন মো. মোস্তাকিন মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজারুদ্দিন জানান, তাঁর নাতি আল আমিন সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়ে দেশসেবায় যুক্ত হলে তিনি খুশি হবেন। গর্বিত হবেন। আল আমিনকে এ স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করায় বাবুডাইং আলোর পাঠশালা ও প্রথম আলো ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানান তিনি। কেননা এ বিদ্যালয়ে তাঁদের শিশুরা বিনা পয়সায় পড়ালেখা করে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তাঁরা।