দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন

প্রতিযোগিতা পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়।

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ের সমাবেশ কক্ষে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক শ্রী রাজেশ কুমার কানু। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে প্রথম আলোর পরিচয়, অর্জন এবং কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক শ্রী রাজেশ কুমার কানু। তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে প্রথম আলোর পরিচয়, অর্জন এবং কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোকে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। প্রথম আলো নিজেই নিজের পরিচয়। সত্য প্রকাশে নির্ভীক, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদে অগ্রগণ্য, দেশের সর্বাধিক পাঠকপ্রিয় সংবাদপত্র প্রথম আলো। সেই ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করে এখন অবধি সর্বোচ্চ সুনামের সঙ্গে প্রথম আলোর যাত্রা অব্যাহত আছে। প্রথম আলো তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান 'প্রথম আলো ট্রাস্ট' এর মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে যে সেবামূলক কাজ করছে, তা প্রশংসার দাবিদার। দেশের আটটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রথম আলো ট্রাস্টের মাধ্যমে আটটি আলোর পাঠশালা পরিচালিত হচ্ছে। যার মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। আমি প্রথম আলোর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।’

প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ বারের স্লোগান ‘সত্যই সাহস’।

এরপর সহকারী শিক্ষকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সৈয়দ নুর প্রথম আলোর অর্জন ও পুরস্কার বিষয়ে; মো. জোনায়েদ বন্ধুসভার কার্যক্রম সম্পর্কে; রবিউল আলম প্রথম আলো ট্রাস্টের সেবামূলক কার্যক্রম সম্পর্কে এবং আমান উল্লাহ শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মতিউর রহমানের জীবনী ও পেশাগত সাফল্য নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনাসভা শেষে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। শিক্ষকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া প্রথম আলো সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা, প্রথম আলো ট্রাস্টের কার্যক্রম সম্পর্কিত উপস্থিত বক্তৃতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার হিসেবে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়।সকল শিক্ষার্থীদের চকলেট দেওয়া হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে সকল শিক্ষার্থীরা পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে।