উত্তরা গণভবনে গুড়িহারী–কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত

উত্তরা গণভবনে গুড়িহারী–কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাটোর শহরতলীতে দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি তথা উত্তরা গণভবন অবস্থিত। প্রায় ৩০০ বছরের ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিশালাকার এ জমিদার বাড়িতে আছে দিঘী, বাগান, ইটালিয়ান গার্ডেন ও চিড়িয়াখানা। গণভবনটি ৪৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি  উত্তরা গণভবনে শিক্ষা সফর উপভোগ করেন পাঠশালার শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষা সফরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী,  পাঠাশালা পরিচালনা পর্যদের সদস্যসহ  ১১৩ জন অংশগ্রহণ করে। পাঠশালা প্রাঙ্গন হতে গন্তব্য স্থলের দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা সকাল ৬টায় উত্তরা গণভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সকাল সাড়ে নয়টায় গন্তব্য স্থলে পৌঁছে। পাঠশালার শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে উত্তরা গণভবন ঘুরে দেখে। সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কেয়া খাতুন বলেন, 'আমি আমার দাদা-দাদীর কাছ থেকে নাটোরের দিঘাপতিয়া রাজবাড়ির গল্প শুনেছি আজকে স্বচক্ষে দেখলাম। এই ঐতিহাসিক স্থাপনা আমার মন কেড়েছে।  পিরামিড আকৃতির চারতলা প্রবেশদ্বার, বিরাট আকৃতির ঘড়ি ও ঘণ্টা দেখে আমি মুগ্ধ।’

উত্তরা গণভবনে রয়েছে দুর্লভ প্রজাতির গাছের সমারোহ। রাজ-অশোক, পরিজাত, হাপাবমালি, কর্পূর, হরীতকী, মাইকাস, নীলমণিলতা, হৈমন্তীসহ বিভিন্ন দুর্লভ প্রজাতির ফলজ ও ওষুধি বৃক্ষের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে পাঠশালার শিক্ষার্থীরা। রাজবাড়ির ভেতরের বিশাল মাঠ–গোলাপ বাগান ও ১৭৯৯ সালে স্থাপিত চারটি কামান শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি কেড়েছে।

শিক্ষাসফর প্রসঙ্গে পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রাজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা প্রতিবছর শিক্ষা সফরের আয়োজন করি। আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবিত্তিক বিকাশের ক্ষেত্রে শিক্ষসফরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আঠারো শতকে নির্মিত দিঘাপতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান ঘুরে আমরা প্রত্যেকেই সমৃদ্ধ হয়েছি।’

উল্লেখ্য, সামিট গ্রুপ ও আঞ্জুমান–আজিজ ট্রাস্টের সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত গুড়িহারী কামদেবপুর আলোর পাঠশালাটি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম গুড়িহারী শালবাড়িতে অবস্থিত।