রাজশাহী আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন প্রথম আলো সম্পাদক
একজন অতি সাধারণ মানুষের মতো বাদাম গাছের নিচেই বসে পড়লেন শিক্ষার্থীদের পিটি দেখতে। মাঠে চেয়ার আনতে তিনি না করলেন। পুরো স্কুল ঘুরে দেখলেন, দেখলেন বটের মূলে নদীর কূলে স্কুল এবং স্কুলের পাশের মানুষের চিত্র। তিনি হলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। গত মাসের ২৪ তারিখ তিনি প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহী আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করেন।
তাঁর আগমন উপলক্ষে চরখিদিরপুর থেকে রাজশাহী আলোর পাঠশালার প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুক্তি খাতুন এসেছিল দেখা করতে। তিনি মুক্তির সঙ্গে একজন অভিভাবকস্বরুপ গল্প করলেন, তাকে সাহস জোগালেন। আলোর পাঠশালায় এসে তাকে মাঝে মাঝে ক্লাসও নিতে বললেন, যেন শিক্ষার্থীরা তার গল্প শুনে অনুপ্রেরণা পায়।
শুনলেন জেসমিনের মুখে তার নিজের গল্প। জেসমিনকে বলে গেলেন, ‘তোমার সব দায়িত্ব প্রথম আলোর, তুমি নির্ভয়ে পড়াশোনা কর। কেউ আর তোমাকে বিয়ের জন্য বলবে না।’ শিক্ষকদের প্রত্যেকের একাডেমিক এবং ব্যক্তিজীবনের গল্পও শুনলেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের প্রিয় ফল, প্রিয় খাবার কী কী ইত্যাদি নিয়েও গল্প করলেন। সবশেষে তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কর্তৃক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য পাঠানো পুরস্কার বিতরণ করলেন। বললেন, ‘এই বইগুলো তোমরা যারা যারা পেয়েছ তারা তো পড়বেই, সবার সঙ্গে শেয়ার করে পড়বে। নিজেদের ভেতরে পরিবর্তন করে নিয়ে পড়বে।’ আমরা সবাই অনুপ্রেরণা বোধ করলাম।
পরে অষ্টম শ্রেণির সুমাইয়া ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে/ কত প্রাণ হল বলিদান/ লেখা আছে অশ্রুজলে…’ গেয়ে শুনায়। ষষ্ঠ শ্রেণির আবদুল্লাহ ‘পদ্মা নদী নিয়ে তার ইতিবাচক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ তুলে ধরে। এরই মধ্যে শুনলেন অষ্টম শ্রেণির মনিকার কণ্ঠে গান। একপর্যায়ে প্রিয় কবি ও লেখকদের লেখা পড়তে উৎসাহিত করলেন শিক্ষার্থীদের। রাজশাহী আলোর পাঠশালার শিক্ষকদেরও তিনি অনুপ্রেরণা দিয়ে গেলেন। আমরা সকলে একটি সুন্দর আনন্দে ভরা দিন উদ্যাপন করলাম।