টাকার অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত উপকূলীয় দরিদ্র মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তার হতে চায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মধ্য চররমনী মোহন গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সানিকা আক্তার। এই সংগ্রামী ছাত্রী প্রতিদিন প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে। রামগতি উপজেলার মেঘনাপাড় ধীবর আলোর পাঠশালার চতুর্থ শ্রেণির নিয়মিত শিক্ষার্থী সানিকা। তার বাবা মো. ইসমাইল হোসেন একজন সামান্য দোকানদার এবং মা মোসা. ফাতেমা বেগম গৃহিণী। সামান্য দোকানদারি করে দুই ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানো ইসমাইল হোসেনের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য। তবুও তিনি হাল না ছেড়ে সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভাই-বোনদের মধ্যে সানিকা মেজো।
সানিকা ২০২৪ সালে তৃতীয় শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ প্রবল; সে প্রতিদিন নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে এবং তার উপস্থিতি শতভাগ। কেন ডাক্তার হতে চায়, এমন প্রশ্নের উত্তরে সানিকা জানায়, ' দেশে অনেক গরিব-অসহায়, দিনমজুররা টাকার অভাবে চিকিৎসা সেবা পায় না বা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে অকালে মারা যায়। তাদের কথা চিন্তা করেই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা আমার।, তার স্বপ্ন ডাক্তার হয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত অসহায় জেলে সম্প্রদায়সহ চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। সানিকার মা ফাতেমা বেগম বলেন, আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় বেশ আগ্রহী। তার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে তার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করব। আশা করি প্রথম আলো ট্রাস্ট আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণে সাহায্য সহযোগিতা করবে।