পহেলা বৈশাখ বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন। দিনটি সকল বাঙালি জাতির কাছে শুভ নববর্ষ নামে পরিচিত। এই দিনে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে অতীতের সুখ-দুঃখ, হতাশা, ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে নানা উৎসবে বাঙালিরা মেতে ওঠে। দিনটিকে কেন্দ্র করে গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালায় পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদ্যাপিত হয়েছে। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ এবং গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আয়োজন শুরু হয় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। ৭টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা।
আনন্দ শোভাযাত্রায় শিক্ষার্থীরা ব্যানার নিয়ে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে হেঁটে যায়। এ সময় সবার মুখে গান উচ্চারিত হয় ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’। শোভাযাত্রা শেষে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক থেকে শুরু করে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি সকলে মিলে পান্তা খাওয়া হয়।
পহেলা বৈশাখের আগের দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে যায় বিদ্যালয়ে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মচারী থেকে শুরু করে গ্রামের ছেলেরাও বিভিন্ন কাজে সাহায্য সহযোগিতা করে। সকাল থেকেই শুরু হয় বর্ষবরণের আমেজ। পান্তা ইলিশের সঙ্গে পেঁয়াজ, মরিচ রাখা হয়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে, হাতে লাল চুড়ি খোঁপায় ফুল, মাথায় বৈশাখী ফিতা, স্টিকার, কপালে লাল রঙের টিপ, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক। এ ছাড়া ছেলেমেয়েরা গালে ট্যাটু, একতারা, কুলা, শখের হাঁড়ি ইত্যাদি এঁকে বাহারী সাজে সজ্জিত হয়ে বর্ষবরণে মেতে ওঠে।
গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ের আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে বর্ষবরণ উদ্যাপন করি। পহেলা বৈশাখ এমন একটি অনুষ্ঠান যেখানে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক সাথে আমরা উদ্যাপন করতে পারি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সুখী ও সুন্দর ভবিষ্যতের কামনা করছি।’
গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক বলেন,‘পহেলা বৈশাখ আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই দিনে ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোত্র সবকিছু ভুলে আমরা সকল মানুষ এক হয়ে এই দিনটা উদ্যাপন করি। আমাদের স্কুল থেকেও প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হয়। দিনটিতে আমার সবাই মিলে অনেক আনন্দ করে থাকি।’