প্রতিদিন প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে স্কুলে আসে মাসুমা

গুড়িহারী কামদেবপুর আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন।

মাসুমা খাতুন গুড়িহারী কামদেবপুর আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণির একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। মাসুমার বাড়ি কদমবাড়ী গ্রামে । মাসুমার বাবার নাম মো: ফারুক হোসেন আর মায়ের নাম মোসা: মুনজুয়ারা বেগম। তার বাবা একজন দিনমজুর। দিনমজুরের কাজ করে সংসার ও দুই ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানো তার পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তারপরও মাসুমার বাবা হাল ছাড়েননি। তিনি ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাসুমারা এক ভাই এক বোন। ভাই বোনের মধ্যে মাসুমা ছোট। মাসুমা ২০২৪ সালে পানিশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে। তারপর সে ২০২৫ সালে গুড়িহারী কামদেবপুর আলোর পাঠশালায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়।

প্রতিদিন প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মাসুমা বিদ্যালয়ে আসে । গ্রাম থেকে স্কুল পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তা কাঁচা। তাকে খালের ধার দিয়ে স্কুলে আসতে হয়। বর্ষার সময় রাস্তায় অনেক কাঁদা থাকে। তারপরও সে নিয়মিত স্কুলে আসে। মাসুমার স্বপ্ন সে একদিন জজ হবে। যাতে তার এলাকার অন্যান্য ছেলেমেয়েরাও তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়। কেন জজ হতে চাও এমন প্রশ্নের উত্তরে মাসুমা খাতুন বলে,' দেশের জনগণ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না তাই আমি চিন্তা করছি জজ হয়ে দেশের মানুষের জন্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে করতে ভূমিকা রাখব। আমাদের দেশের দরিদ্র মানুষেরা ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। তারা যাতে অন্যায়ভাবে শাস্তি না পায় সেজন্যই আমি জজ হতে চাই।'