বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপিত
১২ রবিউল আউয়াল। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন। প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কিরাত ও গজল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
ওই দিন বেলা ১১টায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠান শুরু হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহারিমা খাতুন। এরপর হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী, আদর্শ ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর, সহকারী শিক্ষক সোনিয়া খাতুন, শিরিনা খাতুন, হেলাল উদ্দিন শেখ নাসিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক সাঈদ মাহমুদ।
আলোচনা সভা শেষে কিরাত ও গজল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে বই উপহার দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সকলকেই বই উপহার দেওয়া হয়। কিরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে পঞ্চম শ্রেণির মরিয়ম খাতুন, তৃতীয় শ্রেণির মোসলেমা খাতুন ও ষষ্ঠ শ্রেণির লিজা খাতুন। অন্যদিকে গজল প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে তৃতীয় শ্রেণির মরিয়ম খাতুন, ষষ্ঠ শ্রেণির তাহারিমা খাতুন ও শামিমা খাতুন। আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিন শেখ নাসিম।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের মক্কা নগরের বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।